গল্প : অভিশপ্ত আয়না
তৃতীয় পাঠ
রীতা আর সহ্য করতে পারছিল না। সে ঠিক করল, আয়নাটা যেখান থেকে কিনেছে, সেই দোকানে ফিরিয়ে দিয়ে আসবে। পরের দিন সে দোকানে গিয়ে দেখল, দোকানটা বন্ধ। আশেপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে সে জানতে পারল, ওই দোকানদার এক সপ্তাহ আগেই হঠাৎ করে দোকান বন্ধ করে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। রীতার ভয় আরও বেড়ে গেল। সে বুঝতে পারল, দোকানদার জেনেশুনেই তাকে এই অভিশপ্ত আয়নাটা গছিয়েছে। সেদিন ফ্ল্যাটে ফিরে সে দেখল, আয়নার ওপর থেকে চাদরটা সরানো। অথচ সে নিজেই চাদরটা চাপা দিয়ে গিয়েছিল। তার মানে, তার অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে কেউ এসেছিল? কিন্তু দরজা তো ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সে ভয়ে ভয়ে আয়নার দিকে তাকাল। এবার সে স্পষ্ট দেখল, আয়নার ভেতরে তার প্রতিবিম্বের পাশে এক মহিলার মুখ ভেসে উঠেছে। মহিলার চোখ দুটোয় তীব্র ঘৃণা, ঠোঁটের কোণে ক্রূর হাসি। রীতার মনে হলো, তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। সে ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চাইল, কিন্তু পারল না। তার পা দুটো যেন মেঝের সঙ্গে আটকে গেছে।
আত্মাটা আর শুধু প্রতিবিম্বের জগতে বন্দী ছিল না; সে এবার বাস্তবতার জগতে পা রাখার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Mir Abs Shawon
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?