গল্প : সুন্দরবনের কেন্দুয়াখালি
প্রথম পাঠ
আমি রফিক, সুন্দরবনে নৌকো চালাই। এই বাদাবনের নাড়িনক্ষত্র আমার চেনা। বাঘের ভয়, কুমিরের ভয় নিয়ে আমাদের বাস, কিন্তু তার চেয়েও বড় ভয় হলো 'আত্মা'র ভয়। আমাদের এখানে একটা জায়গা আছে, নাম কেন্দুয়াখালি। কোনো মাঝি দিনের বেলাতেও ওই খাঁড়িতে ঢুকতে চায় না। লোকে বলে, ওখানে এক অতৃপ্ত আত্মা বাস করে। বহু বছর আগে গফুর নামে এক লোভী মৌয়াল মধু ভাঙতে একা একা ওই খাঁড়িতে ঢুকেছিল। সে নাকি বাঘের মুখে পড়েছিল। কিন্তু তার লাশ পাওয়া যায়নি। তারপর থেকেই নাকি তার আত্মাকে ওখানে দেখা যায়। সে অন্য মাঝিদের ভুল পথে চালিত করে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়। আমি এসব গল্প বিশ্বাস করতাম, তাই ওদিকটা এড়িয়েই চলতাম। কিন্তু একদিন কলকাতা থেকে কয়েকজন গবেষক এলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য, কেন্দুয়াখালির ভেতরের ম্যানগ্রোভ নিয়ে গবেষণা করা। তাঁরা আমাকে মোটা টাকার লোভ দেখালেন। অভাবের সংসারে আমি আর না করতে পারলাম না। ঈশ্বরের নাম নিয়ে আমি তাঁদের নিয়ে রওনা দিলাম সেই অভিশপ্ত খাঁড়ির দিকে।
টাকার লোভ যে মাঝে মাঝে মৃত্যুর দিকেই পথ দেখায়, সেই চরম সত্যটা আমি সেদিন হাড়ে হাড়ে টের পেতে চলেছিলাম।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

HRIDOY Dhar
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?