ইয়েমেনের একজন আলেমের কাছে কয়েকজন ফুটবলার জিজ্ঞেস করলো, "উস্তাদ, শুনলাম ফুটবল খেলা নাকি হারাম। আসলেই কি তাই?" <br>ইয়েমেনের সেই আলেমের নাম হাবিব উমর বিন হাফিজ (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর। তিনি দারুল মোস্তফা ইসলামিক সেমিনারের ডিন। ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় হাবিব উমর বিন হাফিজ ছিলেন অষ্টম। <br> <br>ফুটবলারদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "তোমাদেরকে কে বলেছে ফুটবল খেলা হারাম?" <br> <br>সরাসরি উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন। কারণ, বাই ডিফল্ট ফুটবল খেলা তো হারাম না। পাড়ার মাঠে, স্কুলের মাঠে যে ফুটবল খেলা হয়, এই খেলাটা তো হারাম না। বরং খেলার সাথে যেসব অনুসঙ্গ যুক্ত হয়, সেগুলোর কারণে এটা হারাম। যেমন: হাফপ্যান্ট পরে সতর খোলা রাখা। <br> <br>একটি হালাল খাবারের সাথে হারাম মেশানো হলে ঐ হালাল খাবারটি হারাম হতে পারে। তাই বলে, হালাল খাবার (যেমন দুধ) ইটসেল্ফ তো হারাম না। <br> <br>হাবিব উমর বিন হাফিজ বললেন, "তোমরা কোথায় ফুটবল খেলো? আমাকে জানাও তো। আমি আগামীকাল থেকে তোমাদের খেলা দেখতে যাবো।" <br> <br>আলেমের কথা শুনে ফুটবলাররা বেশ অবাক। এরকম কথা তারা কখনো শুনেনি। এতো বড়ো একজন স্কলার তাদের খেলা দেখতে চাচ্ছেন, এটা শুনে তারা একটু বিব্রত হলো। তারা তাদের লোকেশন দিলো। <br> <br>পরদিন বিকেলবেলা যুবকরা যখন মাঠে খেলতে গেলো, দেখতে পেলো সেই আলেম তাদের খেলা দেখতে এসেছেন। গ্যালারিতে বসে তিনি খেলা দেখছেন। এভাবে প্রতিদিন তিনি যুবকদের খেলা দেখতে যান। <br> <br>একসময় যুবকরা একটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চায়। কিন্তু, টুর্নামেন্টের পুরস্কার দেবার জন্য ডোনার খুঁজে পাচ্ছিলো না। আল্লামা হাবিব উমর বিন হাফিজ বললেন, "তোমরা পুরস্কারের ব্যাপারে চিন্তা করো না। আমি তোমাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করবো।" <br> <br>যুবকরা নিজের চোখ-কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। একজন আলেম তাদেরকে ফুটবল খেলার পুরস্কার দিবেন? <br> <br>ফাইনালের আগের দিন হাবিব উমর বিন হাফিজ জানালেন, তিনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে থাকবেন। তবে, ফুটবলারদেরকে একটি অনুরোধ জানালেন। <br> <br>ফুটবলারদেরকে তিনি এতো সহযোগিতা করেছেন, তারা তার যেকোনো অনুরোধ মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলো। <br> <br>হাবিব উমর বিন হাফিজ বললেন, "আগামীকাল তোমাদেরকে ট্রাউজার পরে খেলতে হবে। কারণ, পুরুষের সতর ঢেকে রাখা ফরজ। থ্রি-কোয়ার্টার পরে খুব ভালোভাবে ফুটবল খেলতে পারবে। পারবে না তোমরা?" <br> <br>যুবকরা সবাই একবাক্যে রাজি। তারা থ্রি-কোয়ার্টার পরে ফাইনাল খেলবে। <br> <br>ফাইনাল খেলা হলো। গ্যালারিতে বসে হাবিব উমর বিন হাফিজ মনোমুগ্ধকর ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করলেন। প্রধান অতিথি হিশেবে পুরস্কার দিলেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছোট্ট করে একটি ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি বলেন, "দেখো বাবারা, আমি তোমাদের খেলা দেখতে প্রতিদিন আসি। তোমরা কি কষ্ট করে আমার কাছে মাঝেমধ্যে আসবে?" <br> <br>ফুটবলাররা বললো, "আমরা তো আপনার কাছে যেতে চাই। কিন্তু, আমাদের লজ্জা লাগে। আপনার সাথে কতো বড়ো বড়ো আলেমরা থাকেন, তাদের পাশে বসতে আমরা বিব্রতবোধ করি।" <br> <br>মাওলানা হাবিব উমর বিন হাফিজ বললেন, "সেটা ব্যাপার না। তোমরা বরং অন্য সময় আসো। প্রতিদিন এই টাইমে আমি ফ্রি থাকি। তোমরা তখন আসতে পারবা না?" <br> <br>ফুটবলাররা সমস্বরে বললো, "জ্বি, উস্তাদ আসতে পারবো।" <br> <br>ট্রাউজার, থ্রি-কোয়ার্টার পরে ফুটবল খেলার পাশাপাশি ফুটবলাররা সেই আলেমের দারসে যাওয়া শুরু করলো। মাঝেমধ্যে নামাজ পড়া শুরু করলো। <br> <br>কিছুদিন এভাবে কাটলো। <br> <br>অতঃপর দেখা গেলো, তাদের অনেকেই ৫ ওয়াক্তের নামাজী হয়ে গেলো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আলেম হয়ে গেলো, নিয়মিত দ্বীন নিয়ে পড়াশোনা করতে লাগলো। <br> <br>একজন দাঈ হলেন অপরচুনিটি সিকার। তিনি গোবরে পদ্মফুল ফুটাতে চান। মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করে নেন, কাছে টেনে নেন। <br> <br>একটি মুসলিম সমাজে ফকিহের যেমন প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রয়োজন আছে দা'ঈর। কেউ কেউ একইসাথে দুটোর ভূমিকা পালন করতে পারেন। সমাজে এই দুটোর ব্যালেন্স না থাকলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ ফেসবুকে এখন এটাই বেশি হচ্ছে। কারণ, আমরা এখনও ঠিক করতে পারিনি আমাদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত।
সাপের বিষ পান করলে কি হবে? কখনো ভেবেছেন? <br> <br>সাপের বিষ পান করলে কিছুই হবে না, কারণ সাপের বিষ হল এক ধরনের প্রোটিন, এটা পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে প্রোটিওলাইটিক এনজাইমের কারণে প্রোটিস এবং পেপটোন হয়ে শেষ অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিণত হবে! <br> <br>কিন্তু মুখ, খাদ্যনালী বা পাকস্থলীতে যদি ক্ষত থাকে তাহলে "গেম ওভার" 🙃 <br> <br>কারণ তখন তা রক্তের সাথে সরাসরি মিশ্রিত হয়ে যেতে পারবে, কৌশিক নালী হয়ে *
ভূতেরা পুরনো বাড়িতে বেশি দেখা যায় কেন? <br> <br>এটা আসলে আমাদের মনের খেলা এবং পরিবেশের প্রভাবের মিশ্রণ। পুরনো বাড়িগুলোতে কাঠের শব্দ, বাতাসের সোঁ সোঁ আওয়াজ, ঠান্ডা জায়গা, এবং অন্ধকার কোণ আমাদের মস্তিষ্কে "agent detection" নামক একটি প্রক্রিয়া সক্রিয় করে। এই প্রক্রিয়া আমাদের পূর্বপুরুষদের শিকারি বা শত্রু থেকে বাঁচতে সাহায্য করত, কিন্তু এখন এটি আমাদেরকে অজানা শব্দ বা ছায়াকে ভয়ের সৃষ্টি করে। যা, ভূতের উপস্থিতি মনে হয়। <br> <br>ইতিহাসে দেখা যায়, অনেক সমাজে বিশ্বাস ছিল যে, কোনো জায়গায় যদি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে সেই জায়গা অভিশপ্ত হয়ে যায়। যেমন, ইউরোপে একসময় বিশ্বাস করা হতো যে, ভূতদের ঠেকাতে বাড়ির দেয়ালে "witch-marks" আঁকা হতো। এছাড়াও, কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছাকৃতভাবে ভূতের গল্প তৈরি করে, যা সমাজে ভূতের ভয় বাড়ায়। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা নিয়ে লোকমুখে চলা বিভিন্ন ঘটনাকে মানুষ বিশ্বাস করে, যার ফলে অস্বাভাবিক কিছু অনুভব করে। <br> <br>বিজ্ঞান বলছে, অনেক সময় আমরা যা ভূতের উপস্থিতি মনে করি, তা আসলে পরিবেশগত বা মানসিক কারণ। যেমন, পুরনো বাড়িতে ছাঁচ (mold) থেকে নির্গত গ্যাস আমাদের মস্তিষ্কে বিভ্রম সৃষ্টি করতে পারে। আবার, অতিরিক্ত চাপ, ঘুমের অভাব, বা নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ আমাদের মনে ভূতের অনুভূতি জাগাতে পারে। <br> <br>ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্বীন, ভূত বা আত্মা একটি বাস্তব অস্তিত্ব। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণ করে এবং জীবনের পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে ধারণা দেয়। অন্যদিকে, বিজ্ঞান সবকিছু প্রমাণ-ভিত্তিকভাবে ব্যাখ্যা করতে চায়। এই দুই দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হলেও, উভয়ই মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বাসের অংশ।
যখন কাক অসুস্থ বোধ করে... তখন পিঁপড়ার সন্ধান করে। <br> <br>কাক অসুস্থ বোধ করলে পিঁপড়ার বাসার কাছে গিয়ে বসে, ডানা মেলে দেয়, নিশ্চল হয়ে থাকে এবং পিঁপড়াদেরকে তার উপর আক্রমণ করতে দেয়। <br> <br>কাক এটা করে কারণ পিঁপড়ারা কাকের শরীরে ফর্মিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দেয়, যা একটি প্রাকৃতিক পরজীবী-নাশক হিসেবে কাজ করে। এই অ্যাসিড কাককে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে, যাতে ওষুধ ছাড়াই এটি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। <br> <br>এই আচরণকে "অ্যান্টিং" (Anting) বলা হয় এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মধ্যে এটি দেখা গেছে। এটি প্রাণীদের স্ব-চিকিৎসার একটি অবিশ্বাস্য উদাহরণ। <br> <br>প্রকৃতি তার নীরব জ্ঞানের মাধ্যমে আমাদেরকে অবাক করে দেওয়া কখনই বন্ধ করে না!
বিকালে ঘুম থেকে উঠলে আমাদের কেন মনে হয় সকাল হয়ে গেছে — এর পেছনে রয়েছে মানব মস্তিষ্কের সময় ধারণা এবং ঘুম-চক্র (sleep cycle) সম্পর্কিত মনোবিজ্ঞান। নিচে বিস্তারিতভাবে এবং সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করছি: <br> <br>🧠 মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি (Biological Clock) ও বিভ্রান্তি <br> <br>আমাদের শরীরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি কাজ করে যাকে Circadian Rhythm বলা হয়। এটি দিনের আলো, অন্ধকার এবং ঘুমের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাধারণত সকাল মানেই আমাদের জন্য জেগে ওঠার সময় এবং বিকেল মানেই বিশ্রাম বা কাজের শেষ ভাগ। <br> <br>কিন্তু আপনি যখন দুপুর বা বিকেলে ঘুমান এবং দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে পড়েন, তখন মস্তিষ্ক "ঘুম থেকে উঠেছি = নতুন দিন শুরু" এই ধারণায় অভ্যস্ত থাকে। ফলে ঘুম ভেঙে মস্তিষ্ক মনে করে, এটি আগের দিনের শেষ নয় বরং পরের দিনের শুরু — অর্থাৎ সকাল। <br> <br>🌤️ আলোর ভূমিকা ও পরিবেশগত সংকেত (Environmental Cues) <br> <br>সকাল ও বিকেলের আলো অনেকটাই কাছাকাছি — হালকা, শান্ত এবং কিছুটা ঠান্ডা। আপনি যখন বিকেলের আলোতে ঘুম থেকে ওঠেন, তখন বাইরের পরিবেশ অনেকটা সকালের মতো অনুভূত হতে পারে: <br> <br>নরম সূর্যালোক <br> <br>কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া <br> <br>চারপাশে হালকা শব্দ (যেমন পাখির ডাক, দূরের গাড়ির আওয়াজ) <br> <br>এই সব পরিবেশগত সংকেত আমাদের মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে, ফলে আমরা মনে করি এখন দিন শুরু হয়েছে। <br> <br>ঘুমের পর মন-দেহের অবস্থা <br> <br>ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্ক দুটোই একধরনের "রিফ্রেশড" অবস্থায় থাকে। এই সতেজ অনুভূতি সাধারণত সকালে অনুভব করি। যখন বিকেলে ঘুম ভাঙে, তখনও সেই সতেজতা থাকে — যা আমাদের মনে করিয়ে দেয়: <br> <br>> “নিশ্চয়ই এটা নতুন সকাল!” <br> <br>🧪 সাইকোলজির ভাষায় একে বলে "Temporal Disorientation" <br> <br>এটি একধরনের সময় বিভ্রান্তি, যেখানে মানুষ বুঝতে পারে না সে দিনের কোন অংশে আছে। বিকেলে ঘুম থেকে ওঠার পর এই বিভ্রান্তি খুবই সাধারণ, বিশেষ করে যদি ঘুমটা দীর্ঘ হয় বা গভীর ঘুম হয়। আপনি নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন: <br>এখন বিকেল, নাকি সকাল? <br>এখনই কি দিন শুরু হলো? <br> <br>🔁 এই ঘটনা বেশি ঘটে: <br> <br>যখন আপনি দুপুরের পর অনেকক্ষণ ঘুমান <br> <br>যখন ঘর অন্ধকার বা পর্দা টানা থাকে <br> <br>যখন সারাদিন ঘুম–জাগরণের সঠিক রুটিন থাকে না <br> <br>রাতে দেরিতে ঘুমিয়ে সকালে না উঠলে <br> <br> উপসংহার: <br> <br>বিকেলে ঘুম থেকে উঠলে সকাল মনে হওয়াটা পুরোপুরি স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তা মস্তিষ্কের জৈবঘড়ি ও সময় সংবেদনশীলতার সঙ্গে জড়িত। এটি সাইকোলজির এক সহজ এবং মানবিক প্রতিক্রিয়া — যেখানে মস্তিষ্ক, পরিবেশ এবং ঘুমের গভীরতা একত্রে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করে।
প্রথমবার একজন মানুষকে খুলে দেখা — এটা বইয়ের পাতা নয়, জীবনের গভীর বাস্তবতা।" <br> <br>ডিসেকশন হলে প্রথম পা রাখার মুহূর্তটা কখনো ভোলার নয়। <br> <br>কাঁপা কাঁপা হাতে স্ক্যালপেল ধরা, অজানা এক ভয় আর বিস্ময়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া। <br> <br>আমরা যাঁকে কাটছি, তিনি শুধু একটা 'ক্যাডাভার' নন—তিনি একজন মানুষ, যাঁর জীবনের গল্প ছিল, স্বপ্ন ছিল, প্রিয়জন ছিল। <br> <br>তাঁর নিঃশব্দ দান আমাদের জীবনের প্রথম পাঠশালায় এক অনন্য শিক্ষক হয়ে উঠেছে। <br> <br>এই ডিসেকশন টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বুঝেছি—মেডিসিন শুধু বিজ্ঞান নয়, এটা মানবতার এক অপার শিক্ষা। <br> <br>ধন্যবাদ সেই 'নীরব শিক্ষক'কে, যিনি নিজের শরীর দিয়ে আমাদের শিখতে দিয়েছেন। <br> <br>আপনার এই অবদান আমরা সারা জীবন শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখব।
গল্প: মিউজিক বক্সের সুর <br> <br>অ্যান্টিক শপ থেকে একটা পুরোনো কাঠের মিউজিক বক্স কিনেছিলাম। ওটার গায়ে খোদাই করা ছিল এক ঘুমন্ত শিশুর মুখ। দোকানদার বলেছিল, এটা নাকি একশো বছরেরও বেশি পুরোনো। বাড়িতে এনে চাবি দিতেই ভেতর থেকে একটা মিষ্টি কিন্তু বিষণ্ণ সুর বেজে উঠল। আমার খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো রাতে। মিউজিক বক্সটা নিজে থেকেই বেজে উঠত, ঠিক মাঝরাতে। সেই সুরটা আর মিষ্টি লাগত না, বরং কেমন যেন ভুতুড়ে শোনাত। একদিন রাতে সুরটা শুনে আমার ঘুম ভেঙে গেল। আমি দেখলাম, আমার ঘরের কোণে একটা ছোট বাচ্চার ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে আর মিউজিক বক্সের দিকে আঙুল তুলে কাঁদছে। তার কান্নার কোনো শব্দ নেই, কিন্তু তার যন্ত্রণা আমি অনুভব করতে পারছিলাম। পরে জানতে পারি, ওই মিউজিক বক্সটা এক শিশুর, যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার সৎ মা খুন করেছিল। সেই শিশুর আত্মাই সুরের সাথে বাঁধা পড়ে আছে। <br> <br><a href="https://www.aface1.com/hashtag/মিউজিক_বক্সের_সুর" class="hash">#মিউজিক_বক্সের_সুর</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/ভুতুড়ে_স্মৃতি" class="hash">#ভুতুড়ে_স্মৃতি</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/অলৌকিক_আত্মা" class="hash">#অলৌকিক_আত্মা</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/শিশুর_আত্মা" class="hash">#শিশুর_আত্মা</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/অ্যান্টিক_অভিশাপ" class="hash">#অ্যান্টিক_অভিশাপ</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/বাংলা_হরর" class="hash">#বাংলা_হরর</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/hauntedmusicbox" class="hash">#hauntedmusicbox</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/ghostmelody" class="hash">#ghostmelody</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/childspirit" class="hash">#childspirit</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/banglaghoststory" class="hash">#banglaghoststory</a>
গল্প: ডায়েরির শেষ পাতা <br> <br>আমি একজন হরর লেখক। অলৌকিক ঘটনা সংগ্রহ করে ডায়েরিতে লিখি। এই ডায়েরিটা আমার সঙ্গী। কিন্তু সম্প্রতি আমি লক্ষ্য করেছি, আমি যা লিখি, তা সত্যি হতে শুরু করেছে। আমি লিখেছিলাম এক নিঃসঙ্গ বৃদ্ধার কথা, যিনি রাতে জানালায় টোকা দেওয়ার শব্দ শোনেন। পরের দিন রাতেই আমার জানালায় টোকা পড়ার শব্দ হলো। আমি ভয়ে ভয়ে লিখলাম এক ছায়া-মানুষের কথা, যে শুধু ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই রাত থেকে আমি আমার ঘরের কোণে একটা অস্পষ্ট ছায়া দেখতে শুরু করি। আমি বুঝতে পারলাম, এই ডায়েরিটা আর সাধারণ নেই। এটা বাস্তবকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ভয় পেয়ে আমি ডায়েরিটা পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। শেষ পাতাটা লেখার জন্য কলম ধরলাম—"অবশেষে আমি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হব।" কিন্তু আমার হাত নিজে থেকেই লিখতে শুরু করল, "তুমি মুক্ত হবে না। কারণ গল্পটা এখনও শেষ হয়নি। আসল ভয় তো এখন শুরু হবে, যখন পাঠক এবং লেখকের মাঝখানের পর্দাটা উঠে যাবে।" আমি এখন আর আমার হাত নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ডায়েরিটা নিজেই <br> <br> <br><a href="https://www.aface1.com/hashtag/ডায়েরির_শেষ_পাতা" class="hash">#ডায়েরির_শেষ_পাতা</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/অলৌকিক_গল্প" class="hash">#অলৌকিক_গল্প</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/বাংলা_হরর" class="hash">#বাংলা_হরর</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/ভয়ংকর_ডায়েরি" class="hash">#ভয়ংকর_ডায়েরি</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/গল্প_হয়_বাস্তব" class="hash">#গল্প_হয়_বাস্তব</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/writervsdarkness" class="hash">#writervsdarkness</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/haunteddiary" class="hash">#haunteddiary</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/horrorinreality" class="hash">#horrorinreality</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/scarybengalistory" class="hash">#scarybengalistory</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/banglacreepytales" class="hash">#banglacreepytales</a>
ছাপাখানার ভূত (The Haunting of the Printing Press) <br> <br>ডায়েরির পাতা থেকে: কলকাতার এক পুরনো, বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাপাখানাকে কেন্দ্র করে এই গল্প। রাতের বেলা সেই ছাপাখানার ভেতর থেকে পুরনো মেশিনের ঘরঘর শব্দ শোনা যায়, যেন কেউ কিছু ছাপছে। শোনা যায়, এক প্রতিভাবান কিন্তু দরিদ্র লেখক, সুধীন, তার জীবনের সেরা উপন্যাসটি ছাপানোর জন্য এখানে এসেছিলেন। কিন্তু ছাপাখানার লোভী মালিক ষড়যন্ত্র করে তার পাণ্ডুলিপি চুরি করে সামান্য পরিবর্তন করে নিজের নামে ছাপিয়ে দেয় এবং বিপুল খ্যাতি অর্জন করে। অপমানে, দুঃখে এবং হতাশায় সুধীন সেই ছাপাখানার ভেতরেই আত্মহত্যা করেন। সেই থেকে, প্রতি রাতে তার অতৃপ্ত আত্মা সেই ছাপাখানায় ফিরে আসে এবং মেশিনে তার হারিয়ে যাওয়া উপন্যাসটি ছাপানোর বৃথা চেষ্টা করে। একদল প্যারানormal ইনভেস্টিগেটর সেখানে গিয়ে দেখে, মেশিনগুলো নিজে থেকেই চলছে এবং সাদা কাগজের ওপর অদৃশ্য কালিতে পাতার পর পাতা লেখা হয়ে চলেছে। কিন্তু সেই লেখা পড়ার জন্য কাছে যেতেই ঘরের সব আলো দপ করে নিভে যায় এবং তারা শুনতে পায় এক ক্রুদ্ধ, শীতল কণ্ঠস্বর, "আমার লেখা চুরি করবি না!" <br> <br><a href="https://www.aface1.com/hashtag/hauntedpress" class="hash">#hauntedpress</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/kolkataghoststory" class="hash">#kolkataghoststory</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/vengefulghost" class="hash">#vengefulghost</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/horrorstorybangla" class="hash">#horrorstorybangla</a> <a href="https://www.aface1.com/hashtag/oloukikdiary" class="hash">#oloukikdiary</a>
پیشکش میں ترمیم کریں۔
درجے شامل کریں۔
اپنے درجے کو حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس درجے کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
جائزے
اپنے مواد اور پوسٹس کو بیچنے کے لیے، چند پیکجز بنا کر شروع کریں۔ منیٹائزیشن
بٹوے کے ذریعے ادائیگی کریں۔
ادائیگی کا انتباہ
آپ اشیاء خریدنے والے ہیں، کیا آپ آگے بڑھنا چاہتے ہیں؟