একটা বিকেলের রোদ যেন তার জীবনের শেষ আলো হয়ে এসেছিল। আরিফা বসে ছিল জানালার পাশে, হাতে পুরোনো একটা চিঠি। চিঠিটা লিখেছিল রিফাত—যে একদিন তার পৃথিবীর সব কিছু ছিল। ভালোবাসা, স্বপ্ন, আশা—সবই ছিলো তাদের একসাথে বোনা।
রিফাতের সাথে পরিচয় হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু’জনের হাসি, গল্প, আড্ডায় যেন সময় থমকে যেত। ওরা ভেবেছিল জীবন একসাথে কাটাবে, ছোট্ট একটা সংসার গড়বে। কিন্তু বাস্তবতার কাছে সব স্বপ্ন হেরে গেল। রিফাতের পরিবার মেনে নেয়নি তাদের সম্পর্ক। সামাজিক অবস্থান, আয়ের পার্থক্য আর হাজারো অজুহাতে সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেল।
আরিফা ভেবেছিল রিফাত লড়াই করবে, কিন্তু সে হার মেনে নিল। বিদায়ের দিন শুধু বলেছিল—“ভালোবাসি বলেই তোমাকে কষ্টে ফেলতে চাই না।” কথাটা শোনার পর আরিফার চোখে পৃথিবীটা ভেঙে পড়েছিল।
বছরের পর বছর কেটে গেছে, তবুও রিফাতের নামটা শুনলেই বুক কেঁপে ওঠে। সে জানে, ভালোবাসা হারালেও সেই স্মৃতিগুলোকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। মাঝে মাঝে সে ভাবে, যদি রিফাত সত্যিই লড়ত, তাহলে হয়তো আজ তাদের সন্তান হেসে উঠত এই ঘরে।
চিঠিটা ভাঁজ করে বুকের কাছে চেপে ধরে আরিফা নিঃশব্দে চোখের পানি মুছে নিল। সে জানে, প্রেমে ব্যর্থতা শেষ নয়, কিন্তু সেই অসমাপ্ত গল্পটাই আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। ভালোবাসা না পেলেও ভালোবাসা থেকে যায়—যেন হৃদয়ের গভীরে অমর এক যন্ত্রণা।
#sad#love
একদিন গ্রামের এক সাধারণ ছেলে রাফি ভোরে সূর্যের আলোয় জেগে উঠল। চারদিকে পাখির ডাক, কুয়াশার চাদর আর শিশির ভেজা ঘাস। তার মনে হলো—জীবন আসলে কত সুন্দর! কিন্তু সেই সৌন্দর্যের মাঝেই ছিল লড়াই, ছিল অভাব। ছোট্ট একটা বই হাতে নিয়ে স্কুলে যেত সে, আর মনে মনে স্বপ্ন দেখত বড় হওয়ার।
পথ চলতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেত রাফি। কখনো পরীক্ষায় ব্যর্থতা, কখনো সমাজের ঠাট্টা। তবুও সে হার মানত না। তার মা সবসময় বলতেন, “জীবন মানে শুধু দুঃখ নয়, দুঃখের ভেতর থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়ার নামই জীবন।” এই কথাটা বুকের ভেতর শক্ত করে ধরে রাখত সে।
একদিন স্কুলের শিক্ষক তাকে বললেন, “তুমি একদিন বড় হবে, যদি স্বপ্ন ছাড়ো না।” সেই বিশ্বাসই রাফিকে জাগিয়ে রাখল। ধীরে ধীরে সে শিখল, জীবন মানে শুধু সাফল্য নয়; প্রতিটি ব্যর্থতাও আমাদের নতুন কিছু শেখায়।
রাফি বুঝল—জীবন হলো নদীর মতো, কখনো শান্ত, কখনো উত্তাল। কিন্তু প্রবাহ থেমে যায় না। তাই মানুষকেও চলতে হয়, যত বাধাই আসুক। আজও সে প্রতিদিন নতুন আশায় জেগে ওঠে, নতুন করে পথ খুঁজে নেয়।
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে দুঃখ–সুখ মিলেমিশে থাকে, আর সেখানেই লুকিয়ে থাকে সত্যিকারের সৌন্দর্য।
#জীবন#বাস্তবতা#সুখ#দু:খ
সে যখন PC/Laptop চালায়।
আজকের যুগে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। শিশুদেরও ছোটবেলা থেকেই PC বা Laptop এর প্রতি আকর্ষণ দেখা যায়। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে এটি তাদের শিক্ষার ও দক্ষতা উন্নয়নের চমৎকার মাধ্যম হতে পারে। কম্পিউটার ব্যবহার করে বাচ্চারা অনলাইনে পড়াশোনা, গণিত শেখা, ইংরেজি অনুশীলন, অঙ্ক কষা কিংবা চিত্র আঁকা খুব সহজে করতে পারে। নানা ধরনের শিক্ষামূলক গেমস তাদের জ্ঞান বাড়ানোর পাশাপাশি মনোযোগ ও সৃজনশীলতা গড়ে তোলে।
তবে শিশুদের জন্য PC বা Laptop ব্যবহারে অভিভাবকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি তাদের সামনে বসতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে চোখের সমস্যা, ক্লান্তি বা একাগ্রতার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই পড়াশোনা ও বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হবে। অভিভাবকরা চাইলে শিশুদের বয়স উপযোগী সফটওয়্যার, শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট বা নিরাপদ ইউটিউব চ্যানেল বেছে দিতে পারেন।
একই সঙ্গে শিশুদের শেখানো জরুরি যে কম্পিউটার শুধু খেলাধুলা বা বিনোদনের জন্য নয়, বরং জ্ঞান অর্জন, ভবিষ্যতের দক্ষতা গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম। ছোটবেলা থেকেই তাদের টাইপিং শেখানো, তথ্য খোঁজা, প্রেজেন্টেশন তৈরি বা সাধারণ প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে তারা আরও এগিয়ে যাবে।
সঠিক ব্যবহার হলে PC বা Laptop শিশুদের মানসিক বিকাশ, শিক্ষার অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির জগতে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। তাই সীমিত সময়, সঠিক নির্দেশনা এবং নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুরা প্রযুক্তিকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।
#avan#pc#laptop
মীর্জা গালিব একদিন মসজিদে বসে মদপান করছিলেন।
মুসল্লীরা তাকে বাধা দিলো। তারা বললো, "মসজিদ খুদা কা ঘর হ্যায়, পিনে কে লিয়ে নেহি।" মসজিদ খোদার ঘর, পানশালা নয়।
গালিব তাকালেন মুসল্লীদের দিকে। তারপর আরেক চুমুক খেয়ে বললেন।
"শরাব পিনে দে মসজিদ মে ব্যায়ঠ কার ,
ইয়া ও জাগা বাতা যাঁহা খুদা নেহি।"
আমাকে মদ খেতে দাও, মসজিদে বসেই। নাহয় এমন জায়গা দেখাও যেখানে আল্লাহ নেই ।
মুসল্লীরা লা জবাব! কী জবাব দেবেন ? খোদা নাই এমন জায়গার কথা বলা শক্ত বইকি !