দেনা-পাওনা অন্তিমপর্ব | ##দেনা-পাওনা অন্তিম পর্ব
দেনা-পাওনা অন্তিমপর্ব | ##দেনা-পাওনা অন্তিম পর্ব
৯৩.
وَإِذْ أَخَذْنَا مِيثَـٰقَكُمْ وَرَفَعْنَا فَوْقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُوا۟ مَآ ءَاتَيْنَـٰكُم بِقُوَّةٍۢ وَٱسْمَعُوا۟ ۖ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا وَأُشْرِبُوا۟ فِى قُلُوبِهِمُ ٱلْعِجْلَ بِكُفْرِهِمْ ۚ قُلْ بِئْسَمَا يَأْمُرُكُم بِهِۦٓ إِيمَـٰنُكُمْ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
আর যখন আমি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম এবং তোমাদের উপরে তূর পর্বত উত্তোলন করেছিলাম (বলেছিলাম), ‘যা আমি তোমাদের দিয়েছি, তা দৃঢ়ভাবে ধরো এবং শুনো।’ তারা বলল, ‘আমরা শুনেছি কিন্তু অবাধ্য হয়েছি।’ আর তাদের কুফরির কারণে তাদের হৃদয়ে গরু-র পূজা ভালোবাসা হিসেবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বলো, ‘তোমাদের ঈমান যদি এমন হয়, তবে তা কতই না নিকৃষ্ট ঈমান!’
-- সুরা আল-বাকারা (আয়াত ৯৩ )
📚📚💡সুখের গান বাজে মন আমার ভেতরে,
আলোর রেশ মিশে যায় প্রাণের মেঠো ঢেউয়ে।
হাসির ঝলকানি ছড়ায় চারিদিকে,
জীবন যেন ফুলে ফুটে রঙিন পাখির ডাকে।
প্রেমের স্পর্শে হৃদয় নাচে ভালোবাসায়,
বন্ধুদের মাঝে বাজে সঙ্গীতের ছন্দায়।
আকাশে উড়ে মেঘেরা মধুর সুরে,
আনন্দের ঢেউয় ভাসে প্রতিটি পর্বত ঢল।
দুঃখের ছায়া মুছে গেছে গোধূলির মাঝে,
সুখের রোদে ভেজা প্রতিটি সকাল হেসে ওঠে।
এই গান শোনো, বাজাও হৃদয়ের বীণে,
জীবন পূর্ণ হবে আনন্দে, ভালোবাসায়, সুরে।
ব্লাউজের বাকি অংশ ছিড়তেই বেরিয়ে এলো, ফর্সা উন্মুক্ত পিঠ। মেয়েটি এক হাতে মাটি খামচে ধরলো, আর মনে মনে আল্লাহর নাম জপতে লাগলো। যেন"" কেউ তো তাকে নরপশুদের হাত থেকে বাচায়।
নেশাক্ত নরপশুর দল মেয়েটিকে জোর করে সামনের দিকে ঘুরালো, মেয়েটি শাড়ির আচল টেনে বুক ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং কাপড় শক্ত করে ধরে নিলো।
বা হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে " অসহায় কন্ঠে....
" দয়া করে আমায় মেরে ফেলুন ' তবুও কলঙ্কিত করবেন না " হাত জোড় করছি।
বলেই সে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা চালালো।
দলের মধ্যে সবাই হো হো হাসতে শুরু করলো। দলের এক জন বলে উঠলো,,
" সোনা-মনা কত ক্ষণ আর নিজেকে আড়াল করে রাখবা, ২ মিনিট কি ৫ মিনিট আর লজ্জা পেতে হবে না সোনা, একটু পরেই সব লজ্জা ভেঙ্গে উড়িয়ে দেবো। ট্রাস্ট মি!
লোকটি আবার ওয়াইনের বোতলে চুমুক বসালো। এবারে ঢক ঢক করে বেশ কিছু মদ খেয়ে নিলো।
" মামা আজ ভালোই মজা হবে ক*চি মা*ল।
" ফিগার দেখেছিস, শরীলের চেয়ে বু*ক তো বেজায়'
অবচেতন সাদিয়ার দিকে কু দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথাটি বলে ঠোঁট কামড়ে হাসলো।
রুমের মধ্যে একটা পুরানো সাধারণ লাইটে বিশেষ ভালো আলো ছড়ায়নি। মেয়েটি শাড়ি দিয়ে নিজেকে পেচিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে ভয়ে।
অত্যাধিক ভয়ে মেয়েটির শরীল হালকা হয়ে এলো,মাথা, হাত, পা এবং শরীলের সমস্ত অঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়লো।
কিছু ক্ষণ বাদে' চলে এলো সেই ব্যক্তি যার জন্য তারা অনেক ক্ষণ যাবত অধির অপেক্ষায় ছিলো।
সম্পূর্ণ শরীল কালো কোড দিয়ে ঢাকা, চোখ টাও দেখা যাচ্ছে না। কালো কোড পরহিত ব্যক্তিটি সাদিয়ার অতি নিকটে গেলো ধীর গতিতে৷
লোকটা মেয়েটার পায়ে আলতো স্পর্শ করতেই সে ক্লান্ত অবস্থায় তাকালো এবং ভরকে গেলো৷
মাদক সেবন কারী দলের মধ্যে সবাই এক্সাইটেড হয়ে তাকিয়ে আছে।
আশিক রহমান মিরাজকে ধাক্কা দিয়ে
"শ্লা দেখে তো মনে হচ্ছে না এ আমাদের রাহুল,।
মিরাজ আবার রাহাত কে এই বিষয়ে গুনগুন করে বললে, সে বললো,,,,হুস! মামাহ সেটাই তো।
রাহাতের কথায় আরিফ আর সারুফ বলে উঠলো,,, রাহুল হলে এতোক্ষণে মেয়েটার সব ছিড়ে ফেলতো।
কথাটি বলতেই কোড পরহিত লোকটি দু আঙ্গুল উচু করে কাঠ কাঠ গলায় বললো,,,,,,, ৫ মিনিটের মধ্যে এই বাড়ি না ছাড়লে আমি আদিত রাজ তোদের ছাড়বো না। জানোয়ারের দল। তোদরকে মারতে আমার দশ সেকেন্ড ও লাগবেনা।
আদিত রাজ যার নাম শুনলে যত ছাত্রলীগ, নেতা পুলিশ আছে সবার ভয়ে হাটু কাপে।
আদিতের কথায় সবার পায়ের তলা হতে মাটি সরে যায়। রাহুল কোথায় তাহলে যেখানে রাহুল আসার কথা রাহুল না এসে এই আদিত কোথা থেকে আসলো।
আদিত ওদের যাওয়ার শব্দ না পেয়ে পেছনে ঘুরতেই সবাই ভো দৌড় লাগালো।
বাহিরে আসতেই ফেসে গেলো পুলিশের হাতে।
ওদের আসতে দেখেই পুলিশ"" এই ধর ধর শালা বজ্জাত ওদের ধর ধর।
বলেই পুলিশ গণ ওদের ধাওয়া করলো, ধাওয়া করে আরিফ, মিরাজ আর সারুফকে ধরতে পারলো। রাহুল তো আগেই বন্দি হয়েছে তাদের হাতে।
আর বাকি গুলোকে ধরতে পারলো না পুলিশ একে তো জঙ্গল ঘেরা পুরানো বাড়ি চারপাশে লাইট মারলেও স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না।
৩ জনকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হলো। আর কিছু পুলিশ জঙ্গলের ভেতরে ঢুকে বাকি তিনজনকে খুজতে লাগলো।
* খানিক বাদেই সাদিয়াকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে এলো পুরানো জীর্ণ বাড়ি হতে। সাদিয়া কড়া পারফিউমের ঘ্রাণ পেয়ে অবচেতন অবস্থায়ই আদিতের বুক খামচে ধরলো।
কোনো মতে কাদা যুক্ত স্থান টি পার হয়ে আদিতের গাড়ি পর্যন্ত পৌছালো ছোট্ট মেয়েটিকে কোলে নিয়ে।
বিএমডব্লিউ কার নিভু ব্লু কার্লার, আদিতের বরাবরই ব্লু কার্লার টা ভীষণ পছন্দের।
ভাগ্যের কি পরিহাস অচেনা মেয়েটির গায়েও আদিতের পছন্দের নিভু ব্লু কার্লার একটা সিল্কি শাড়ি।
পেছনের সিটে মেয়েটিকে রেখে আসলো আবার সেই পুরানো বাড়িটায়,
ঘরের ভেতরে ঢুকে মাটিতে পড়ে যাওয়া জিনিসটি তুলে পকেটে ঢুকালো সে।
দ্রু পা ফেলে গাড়িতে এসে বসলো মেয়েটির পাশে।
ফোনের লক খুলে ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে""" স্টার্ট নাউ। গো
ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো। রাস্তাটি ভাঙ্গা চুড়া হওয়ায় মেয়েটি বার বার গাড়িতে তার মাথা বারি খাচ্ছিলো এবং থাসথুস শব্দ হচ্ছিলো দু-একটু।
আদিত বিরক্তি নিয়ে মেয়েটির মাথা তার কাধে এনে নিলো।
অর্ধ গ্রামের পথ পেরিয়ে টিকেটপুর ছেড়ে ঢাকা গুলিস্তানের এখানে এসে বেশ জ্যাম ধরলো। কোন এক সময় আদিত রাজ নিজেও ঘুমের দেশে পারি জমালো।
রাত ৩ টা ছুইছুই, বসার ঘরে পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে।
দেওয়ান বাড়ির মেয়ে নিখোজ।
হারকিউলিস
writer:Sheikh Sadia
পর্ব:১
✨ পর্ব ১০: একসাথে পথচলা (সমাপ্তি)
মিম আর রাহাত জীবনের পথে নতুন করে হাঁটা শুরু করল। কলেজের সেই হাসি-খুশির দিনগুলো এখন স্মৃতির ঝুলিতে ঝলমল করছিল, আর সামনে ছিল নতুন জীবন, নতুন স্বপ্ন।
একসাথে তারা বুঝল— ভালোবাসা মানে শুধু কথা বলা নয়, বিশ্বাস, সহানুভূতি আর কঠিন সময়েও একে অপরের পাশে থাকা। দূরত্বের দুঃখ ভুলে গিয়ে তারা জীবনের প্রতিটি মূহুর্তকে আলিঙ্গন করল।
রাহাত মিমকে বলে,
— “তুমি ছাড়া আমার জীবন অসম্পূর্ণ। তুমি আমার হাত ধরে থাকো, আমি কোনোদিন হারাবো না।”
মিম হেসে জবাব দিল,
— “আমরা একসাথে, সেজন্যই জীবন সুন্দর। আসো, এই পথটাই চিরদিন চলি।”
তারা একসাথে কলেজের সেই পুরনো গাছতলার দিকে হাঁটল, যেখানে তাদের প্রথম বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল, প্রথম ভালোবাসা ফোটেছিল। বাতাসে আজ সেই ভালোবাসার গন্ধ ভাসছিল।
অতীতের সব ঝড়, দূরত্ব আর ব্যথা এখন শুধু স্মৃতি। সামনে ছিল নতুন সূর্যোদয়, নতুন আশা। তারা জানত—
এই জীবন যাত্রায় হাত ধরেই চলবে, একে অপরের ঠিকানা হয়ে।
গল্পটা শেষ, কিন্তু তাদের ভালোবাসার গল্প চলতেই থাকবে। কারণ সত্যি ভালোবাসার কোনো শেষ নেই, সেটা চিরকাল জ্বলতে থাকে হৃদয়ের গহীনে।
---
সমাপ্ত।
তোমার জন্য এই প্রেমের গল্প। আশা করি ভালো লেগেছে!
আরেকটা গল্প বা অন্য কোনো সাহায্য চাইলে বলবে, আমি আছি! ❤️📚✨
✨ পর্ব ৯: ফিরে আসা
মিমের ঢাকায় যাওয়ার কয়েক মাস কেটে গেল। দূরত্বের ব্যথা, মিসের অজস্র রাত কেটেছে তাদের জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। কিন্তু ভালোবাসার সেতু টিকিয়ে রাখতে দুজনেই লড়াই করেছে, কখনো ভেঙে না পড়ে।
অবশেষে সেই দিন এল, মিম বাড়ি ফিরে আসছে। রাহাতের মন উত্তেজনায় ভরে উঠল। কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে রাহাত বারবার ফোনে মিমের আসার খবর যাচাই করছিল।
যখন মিম রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে এল, রাহাত যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো তার দিকে ছুটে গেল। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কিছু বলল না। শুধু চোখের জল আর নিঃশ্বাসে বোঝাল তাদের হারানো দিনের বেদনাকে।
সেই সন্ধ্যায় কলেজের পেছনের সেই পুরনো গাছতলায় তারা বসে একে অপরের হাত ধরে গল্প করল— কষ্ট, স্বপ্ন, আশা আর ভালোবাসার কথা।
মিম কাঁদতে কাঁদতে বলল—
— “দূরত্বের প্রতিটি দিন আমি তোমায় ভোলার চেষ্টা করতাম, কিন্তু পারিনি। তুমি ছিলে আমার মনের একমাত্র ঠিকানা।”
রাহাত বলল—
— “আমি তোমার কথা ভেবে বেঁচে ছিলাম। তোমাকে ছাড়া আমার কোনো স্বপ্ন নেই।”
তারা বুঝল, দূরত্বের কষ্ট যতই বড় হোক, তাদের ভালোবাসা তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
পরের দিন থেকে তারা আর কখনো একে অপরকে ছেড়ে দেয়নি। প্রতিদিন ছোট ছোট খুশির খোঁজে তারা নতুন নতুন গল্প তৈরি করল।
তাদের ভালোবাসা ছিল না শুধুমাত্র কণ্ঠস্বরের গান, বরং নীরবতার মধ্যেও অনুভূতির গভীর প্রকাশ।
এভাবেই তারা ধীরে ধীরে ফিরে এলো একসঙ্গে, এক নতুন আশা আর স্বপ্ন নিয়ে।