घड़ी
आयोजन
ब्लॉग
बाज़ार
पृष्ठों
अधिक
और लोड करें
आप आइटम खरीदने वाले हैं, क्या आप आगे बढ़ना चाहते हैं?
Ayesha afrin Runa
11 m
শেষ বৃষ্টির দিনে
রোদ্দুর আর মেঘলা একই কলেজে পড়ত। দু’জনেই শান্ত স্বভাবের, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা অনেক কিছু ভাবত। রোদ্দুর দূর থেকে মেঘলাকে লক্ষ্য করত, কিন্তু কথা বলার সাহস পেত না।
একদিন আকাশে কালো মেঘ জমল। দুপুরের পর হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো। সবাই দৌড়ে ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে। মেঘলার কাছে ছাতা ছিল না। সে দাঁড়িয়ে ছিল কলেজের গেটে, কী করবে বুঝতে পারছিল না।
রোদ্দুর কিছুক্ষণ দ্বিধায় থাকল, তারপর নিজের ছাতাটা হাতে নিয়ে তার দিকে এগিয়ে গেল।
— “চলো, আমি নামিয়ে দিচ্ছি।”
মেঘলা অবাক হয়ে তাকাল।
— “তুমি ভিজবে না?”
রোদ্দুর হেসে বলল,
— “তুমি ভিজে গেলে আমার মনটাই ভিজে যাবে।”
সেদিনই প্রথম তাদের কথা হলো। বৃষ্টি থামার পর তারা একসাথে বাড়ি ফিরল। ছোট ছোট কথায় দু’জনের মধ্যে অদ্ভুত একটা স্বস্তি তৈরি হলো।
দিন কেটে গেল, ধীরে ধীরে তারা প্রায়ই একসাথে বাড়ি ফিরতে লাগল। কলেজের পর চুপচাপ হাঁটতে হাঁটতে গল্প হতো। মেঘলার হাসি রোদ্দুরের দিনের ক্লান্তি মুছে দিত, আর রোদ্দুরের যত্ন মেঘলাকে নিরাপদ মনে করাত।
কিন্তু একদিন হঠাৎ সমস্যা হলো। মেঘলার বাবা অন্য শহরে চাকরি পেয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেলেন। বিদায়ের দিন রোদ্দুর কিছু বলতে পারল না, শুধু চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। মেঘলাও কিছু বলল না, কিন্তু চোখে জল নিয়ে চলে গেল।
রোদ্দুর ভীষণ ভেঙে পড়ল। কিন্তু সে হাল ছাড়ল না। প্রতিদিন ফোনে চেষ্টা করত কথা বলতে, মেসেজ পাঠাত, কিন্তু মেঘলা ব্যস্ত থাকত নতুন শহর, নতুন কলেজের সাথে মানিয়ে নিতে।
কয়েক মাস পর হঠাৎ একদিন মেঘলার ফোন এল।
— “তুমি কি আজও আমাকে মনে করো?”
রোদ্দুর থমকে গেল।
— “আমি তো প্রতিদিন তোমাকেই মনে করি।”
মেঘলা চুপ করে রইল, তারপর ধীরে বলল,
— “আমি ফিরছি। আবার আমাদের শহরে।”
সেই দিনের পর থেকে রোদ্দুর প্রতিটি বৃষ্টির দিনের অপেক্ষায় থাকত। আর যেদিন মেঘলা ফিরল, সেদিনও আকাশে বৃষ্টি নামল। ঠিক সেই প্রথম দিনের মতোই।
রোদ্দুর ছাতা হাতে গেটে দাঁড়িয়েছিল। মেঘলা এগিয়ে এল।
— “তুমি এখনও ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছ?”
রোদ্দুর হাসল।
— “কারণ আমি জানতাম তুমি আসবে, আর আমি আবার তোমাকে ভিজতে দেব না।”
সেদিন থেকে তাদের প্রেম নতুন করে শুরু হলো।
শেষ বৃষ্টির দিনে, নতুন এক ভালোবাসার সূচনা হলো।
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?