Fb video & reels | #@alonesinger
Fb video & reels | #@alonesinger
নীরবতার গল্প
চারপাশে কোলাহল, মানুষজনের ব্যস্ততা, শহরের ভিড়ের শব্দ—সবকিছুই যেন রিমার কাছে হঠাৎ করে অর্থহীন হয়ে গিয়েছিল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যে শব্দগুলো একসময় তাকে আনন্দ দিত, আজ সেই শব্দই তার কাছে হয়ে উঠেছে অচেনা, বিরক্তিকর আর শূন্যতার প্রতীক। রিমা আজকাল নীরবতার মধ্যে বেঁচে থাকে।
রিমা একসময় খুব হাসিখুশি মেয়ে ছিল। পরিবার, বন্ধু, কলেজ—সবকিছু মিলিয়ে তার জীবন ছিল অনেক রঙিন। প্রতিটি আড্ডায় সে ছিল প্রাণকেন্দ্র। সবাই বলতো—
“রিমা না থাকলে আড্ডা জমে না।”
কিন্তু জীবন তো সবসময় সমান থাকে না। একদিন হঠাৎ করে তার জীবনে নেমে এলো ঝড়। বাবা এক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। সংসারের ভার এসে পড়লো তার উপর। মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন, ছোট ভাই তখনও স্কুলে পড়ে। হঠাৎ করে দায়িত্বের বোঝা রিমার কাঁধে এসে জমলো। সেই দিন থেকে তার হাসি যেন হারিয়ে গেল।
প্রথমদিকে বন্ধুরা পাশে ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই দূরে সরে গেল। কেউ বলতো—
“রিমা আগের মতো নেই।”
আসলে তারা বুঝতে পারেনি, রিমা আর আগের মতো হতে পারবে না। একসময় যে মেয়েটি হাসতে হাসতে আড্ডা জমাতো, সে এখন শুধু চুপচাপ বসে থাকতো। তার চারপাশে ভিড় থাকলেও মনে হতো সে এক অজানা নীরবতার দেয়ালের ভেতরে আটকে আছে।
রাতের পর রাত ঘুম আসতো না। বিছানায় শুয়ে থেকে ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতো। চারদিকে যখন সব থেমে যেত, তখনই নীরবতা তাকে ঘিরে ধরতো। সেই নীরবতা কানে বাজতো ভয়ঙ্কর শব্দের মতো। মনে হতো—
“আমার জীবনে আর কেউ নেই, আমি একা।”
কখনো আবার মনে হতো নীরবতা তার সেরা সঙ্গী। মানুষের কথাবার্তা, দোষারোপ, ভান করা সহানুভূতি—সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে সে নীরবতাকে আঁকড়ে ধরতো। দিনের পর দিন কারো সঙ্গে কথা না বলে থাকলেও তার কষ্ট কেউ বুঝতো না।
একদিন গ্রামের বাড়ি থেকে খালা এসে রিমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন—
“মা, তুই সবসময় চুপচাপ থাকিস কেন? একটু কথা বল, বুকের কষ্টটা বাইরে আন।”
রিমা তখন শুধু হাসলো। আসলে তার ভিতরের কথাগুলো এত ভারী হয়ে গেছে যে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তাই সে নীরবতাকেই বেছে নিল।
ছোট ভাই পড়াশোনা শেষ করে একদিন চাকরি পেল। সংসারের চাপ ধীরে ধীরে কমলো। কিন্তু রিমার ভিতরের নীরবতা আর ভাঙলো না। সবাই ভেবেছিল, সংসার একটু স্বাভাবিক হলেই রিমা আবার আগের মতো হবে। কিন্তু তারা বুঝলো না—কিছু নীরবতা আজীবন মানুষের সঙ্গে থেকে যায়।
সময়ের সাথে সাথে নীরবতা রিমার জীবনদর্শন হয়ে উঠলো। সে এখন আর অযথা তর্কে জড়ায় না, কারো প্রতি রাগ দেখায় না। সে শুধু চুপ করে থাকে। তার চোখের গভীরতায় লুকিয়ে থাকে হাজারো অপ্রকাশিত গল্প, অগণিত কান্না, আর অব্যক্ত ব্যথা।
একদিন ছোট ভাই তাকে জিজ্ঞেস করলো—
“আপু, তুমি এত চুপচাপ কেন থাকো?”
রিমা মৃদু হেসে উত্তর দিল—
“কিছু কথা আছে যেগুলো বলার জন্য পৃথিবীতে কোনো ভাষা নেই। সেগুলো শুধু নীরবতাই বুঝতে পারে।”
রিমার এই নীরবতা অনেককে ভাবিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেছে সে অহংকারী, কেউ আবার বলেছে সে নির্লিপ্ত। কিন্তু আসলে নীরবতা তার বেঁচে থাকার উপায়। সে জানে, মানুষ সবকিছু বুঝতে পারে না। কিন্তু নীরবতা মানুষকে শক্ত হতে শেখায়, গভীর হতে শেখায়।
বছরের পর বছর কেটে গেল। রিমা আজ বৃদ্ধা। ছাদে বসে যখন সূর্যাস্ত দেখে, তখনও তার চারপাশে নীরবতা ঘিরে থাকে। কিন্তু সেই নীরবতা আর ভয়ঙ্কর নয়। এখন সেটা শান্তির মতো, সঙ্গীর মতো।
সে বুঝতে পেরেছে—
“নীরবতাই মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু। যখন সব মানুষ, সব শব্দ, সব সম্পর্ক হারিয়ে যায়—তখন নীরবতা পাশে থাকে।”
---
গল্পের শিক্ষা
নীরবতা কখনো কষ্টের প্রতীক, কখনো শক্তির প্রতীক।
জীবনের কিছু যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, সেগুলো শুধু নীরবতাই বহন করতে পারে।
নীরবতা মানুষকে ধৈর্যশীল করে, গভীর করে এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে শেখায়।
গতবছর যে জুনিয়রকে সবচেয়ে বেশি টাকা সালামি দিয়েছিলাম, সে পরবর্তীতে সেমিস্টার ড্রপ খেয়েছে।
আরেকজনকে সামান্য কিছু টাকা দিয়েছিলাম, কিছুদিন পর শুনলাম ওর ব্রেকাপ হয়ে গেছে। ছেলে এখন পাগলের মত আচরণ করে।
অথচ, এক জুনিয়র মেসেজ দিয়ে বলেছিলো, "ভাইয়া শুধু দোয়া করবেন আমার জন্য। সালামি লাগবে না।" ওর এখন বিরাট অবস্থা। সিজি ৩.৯২। মাসিক ইনকাম হাজার চল্লিশেক। গার্ল্ফেন্ড একটা আছে, তাও মেয়েরা পিছে ঘুরঘুর করে।
এখন... তোমার জীবন, তোমার সিদ্ধান্ত। তুমি ভেবে দেখো কি চাও। সালামি নাকি সমৃদ্ধি...!!!
©️ #copied
#news
স্ত্রী চিঠি লিখছে স্বামীর কাছে। কিন্তু, দাড়ি-কমা সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকায় ভুল স্থানে দাড়ি বসাতেই সেই প্রিয় চিঠি হয়ে গেল আজব চিঠি !
চিঠিটি হলো•••• Story Linee
" ওগো, সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে এ ছিল। তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবি*য়া গিয়াছে ছোট খোকা।স্কুলে যেতে চায় না ছাগ*লটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঘুমাইয়া থাকে তোমার বাবা। বার মাস পেটের অসু*খে ভুগি*তেছে বাগানটা।
Story Linee
আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের চালটা। স্থানে স্থানে ফুটো হয়ে গিয়েছে গা*ভীর পেট। দেখিলে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিম এর বাপ। রোজ দুই হালি করিয়া ডিম দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পু*ড়িঁ*য়া ফেলেছে কু*কুর ছানাটা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়া ফেলেছে নুড়ীর মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে নুড়ীর বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। সাহেব আসিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ী আসিবে না । আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।
ইতি
তোমার বউ।🙂
Collected
#news
কিছু কিছু দুঃখ আছে,
কাউকে বলা যায় না।
কিছু দুঃখ আবার,
কাউকে বললেও বুঝতে পারে না।
কিছু কিছু দুঃখ আছে,
ধুয়ে মুছে ফেললেও গন্ধ থেকে যায়,
হঠাৎ দক্ষিণা বাতাসে টুপটাপ কাঁদিয়ে চলে যায়।
কিছু দুঃখ আছে মনের গভীরে থাকে,
মৃত্যু না হলে সমাপ্তি হয় না।
কিছু কিছু দুঃখের কান্না আছে,
কেউ শুনতে পায় না।
কিছু কিছু দুঃখ আছে আবার,
নীল আলোয় লাল আর লাল আলোয় নীল।
কিছু কিছু দুঃখ আছে কাউকে বললে,
দুঃখ আরো বৃদ্ধি পায়।
কিছু দুঃখ নিজেকে, তিল তিল করে খেয়ে ফেলে।
আবার কিছু দুঃখ সব সময় ব্যক্তিগত,
হয়তো ব্যক্তি নিজেই কখনো বুঝতে পারেনা।
কিছু কিছু দুঃখ আছে খুব ভালো থাকলেও,
বারবার ফিরে আসে।