লেখিকা : অনু
#প্রেমাঞ্জলি
পর্ব:১
শিহাব চৌধুরী এবং রেহানা বেগমের একমাত্র ছেলে রিদান চৌধুরী । ঢাকা ভার্সিটির ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষে অধ্যায়নরত। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে হওয়া সত্ত্বেও সে পরিবার থেকে দূরে একা থাকে।
ইলমা, নিধি এবং লাবণ্য তিন বান্ধবী খুব খুশি কারণ তারা একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছে। আজ ভার্সিটি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তারা তিন বান্ধবী একসাথে উপস্থিত হয়েছে । তিন বান্ধবীর মধ্যে লাবণ্য বেশি চঞ্চল সে বলে বান্ধবী চারপাশে শুধু ওয়াও ওয়াও ছেলে রে 👀🫶 , লাবণ্যের কথা শুনে নিধি আর ইলমা হেসে ওঠে। আদ্রিকা নিধি ওর ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা করার আজ তা সত্যি হতে চলেছে । বাসা থেকে ফোন আসায় নিধি একটু সাইডে যায় কথা বলতে বলতে হঠাৎ একজনের সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায়। তৎক্ষণাৎ নিধি বলে ওঠে কোন বালরে দেখে চলতে পারিস না কানা কোথাকার বলে যেই না সামনে তাকাই দেখে লম্বা, সুদর্শন, বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী একজন রক্তচক্ষু নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। নিধি ভয়ে ভয়ে উঠে দাঁড়ায় কারণ সামনে থাকা ছেলেটাকে দেখে মনে হচ্ছে সিরিয়ার। নিধি ভয়কে সামলে বলে এরপর থেকে একটু সাবধানে চলবেন ঠিক আছে আমি আসি বলেই উল্টো হাটা ধরে। রিদান ওরফে রিদ বলে দাড়াও নিধি ভয় পেয়ে যায় কিন্তু না দাঁড়িয়ে উল্টো দৌড়ে পালিয়ে যায়। রিদ রাগে কটমট করে তাকায় আর বলে এর মত অসভ্য মেয়েকে আমি আগে দেখিনি নিজে দোষ করে অন্যকে দোষারোপ করে পালিয়ে যায়। রিদ গটগট করে এগিয়ে যেতে থাকে বন্ধুদের কাছে। আহির এবং নোমান বাইকের উপর বসে ছিল রিদকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে রিদের উদ্দেশ্যে বলে নোমান কিরে দোস্ত রেগে আছিস কেন? ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা রিদ খুলে বলে। আহির হাসতে হাসতে বলে মেয়েটার দম আছে বলতে হবে নইলে তোর মত মানুষের সাথে এভাবে টেক্কা দেওয়ার সাহস কার আছে এই ভার্সিটিতে। এদিকে নিধি দৌড়ে বন্ধুদের কাছে চলে আসে আর বলে একটা রাক্ষসের সাথে ধাক্কা খেয়ে একটুর জন্য মাজাটা ভেঙ্গে যাচ্ছিল বহুত কষ্টে প্রাণটা নিয়ে বেঁচে পালিয়েছি। নিধির এরূপ কথা শুনে ইলমা বলতে থাকে তুই তো আন্টির সাথে কথা বলতে গেছিলে আবার কার সাথে ধাক্কা খেয়ে আসলি? নিধি বলে ওসব এখন রাখ চল সামনে এগোনো যাক তারা তিন বান্ধবী একসাথে গিয়ে বসে তারপর তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শেষে তারা বাড়ি ফিরে এলো। নিধি বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে নোমানের রুমে যাই গিয়ে দেখে নোমান ফোন চালাচ্ছে। নিধি বলে ভাইয়া আমি তো তোর ভার্সিটিতে চান্স পেয়ে গেছি এখন তুই তোর কথা রাখ আমাকে নতুন ফোন কিনে দে নোমান বলে আচ্ছা ঠিক আছে যা দিব তার আগে তুই আমার মাথা টিপে দে, নিধি মনেমনে বলে গলা টিপে দেই। নিধি বলে ভাইয়া আমার কি যে মাথা ঘুরছে আমি একটু রুমে গেলাম হ্যাঁ বলেই চলে আসে । পরের দিন নিধি আর লাবণ্য যাই শপিং করতে সামনে ইলমার জন্মদিন তাই তাকে সারপ্রাইজ দিবে যেমন ভাবা তেমন কাজ তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটা টেডি আর হিজাব নিলো সাথে চুরি। হঠাৎ নিধির চোখ যায় পাশের একটা দোকানে দেখে একটা সুন্দর শোপিস যেই না সেটা নিতে যাবে অন্য একজন সেটি নিয়ে নেয় সে আর কেউ নয় বরং স্বয়ং রিদ। নিধি পেছন থেকে বলে এটা আমার শোপিস আমি আগে দেখেছি। রিদ পেছনে তাকিয়ে দেখে কালকের সে অসভ্য মেয়েটি । রিদ বলে এটার ওপরে কারো নাম লেখা নেই আর যেহেতু আমি আগে নিয়েছি সো এইটা আমার। নিধি বলে এটার ওপরে আপনার নাম লেখা বুঝি?? রিদ রাগে কটমট করে তাকালো, নিধি কিছু বলতে যাবে তখনি লাবণ্য এর ডাক পরাই আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলো।আর মনে মনে রিদের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকলো।🫣