#34
বাসায় কেউ নেই।
বউ বাচ্চা সব বেড়াতে গেছে। আমি চাকরির খাতিতে যেতে পারি নি। বউ রান্না করে রেখে গেছে। আমি ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে খেয়ে নিই। রাত এগারোটা বেজে গেছে। কম্পিউটারে মেইল চেক করে ঘুমাতে গেলাম। আমার ঘুমের কোনো সমস্যা নাই। মুহুর্তের মধ্যে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। হঠাত তীব্র বেলী ফুলের ঘ্রানে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কয়টা বাজে জানি না। তবে আনুমানিক রাত তিনটা হবে হয়তো। মনে হচ্ছে ঘরে কেউ একজন আছে। সে হাঁটছে। তার হাতের কাঁচের চুড়ির শব্দ পাচ্ছি। মেয়েটা হয়তো চুলে বেলী ফুলের মালা পড়েছে। আমি যে লাইট জালিয়ে দেখব ঘটনা কি, সেই সাহস পাচ্ছি না। ভয়ে আমার হাত পা কাপছে।
আমি বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছি।
কিন্তু খুব বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমার মাথার কাছে বসেছে। আমার মাথার উপর থেকে বালিশটা সরিয়ে দিলো। মেয়েটা এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে আমার মাথায় হাত রাখলো। স্পর্শে বুঝলাম মেয়েটা ভালোবাসা নিয়ে মাথায় হাত রেখেছে। আমি গভীর ঘুমের ভাব ধরে মটকা মেরে আছি।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। মনে মনে ভাবছি রাতের স্বপ্নটা বেশ সুন্দর ছিলো। ঘরে কেউ নেই অথচ বেলী ফুলের গন্ধ ঠিকই আছে। বেলী ফুলের গন্ধটা আমার ভীষন প্রিয়। বিছানা থেকে নামার সময় দেখি- আমার বালিশের পাশে দু'টা বেলী ফুলের মালা পড়ে আছে।
#32
রাত একটা।
বাইরে বেশ ঝড় তুফান হচ্ছে। তীব্র বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। ধূম ধূম বাজ পড়ছে। মনে হচ্ছে সারা শহর আজ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি দরজা জানালা বন্ধ করে কুন্ডুলী পাকিয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। আজ বাসায় কেউ নেই। আমি একা। ঘুমাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না। এমন সময় শুনতে পেলাম দরজায় কে যেন নক করছে।
এত রাতে কে এলো? তাও এই ঝড় তুফানের রাতে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, কে? কে? কোনো সাড়া শব্দ পেলাম না। কিন্তু আবার দরজায় খট খট শব্দ। মেজাজ খুব খারাপ হলো। দরজা খুললাম। দরজা খুলে আমি প্রচন্ড অবাক! রফিক এসেছে। আমার বাল্য বন্ধু। স্কুল কলেজে আমরা একসাথে পড়েছি। রফিককে দেখে আমি সীমাহীন ভয় পেলাম। আমার মাথা কাজ করছে না। সমস্যা হলো রফিক আজ থেকে তিন বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে।
#6
মৃত্যু শয্যায় মহাবীর আলেকজান্ডার তার
সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন,'আমার মৃত্যুর
পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।
আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,শুধু আমার
চিকিৎসকরাই আমার কফিন বহন করবেন।
আমার ২য় অভিপ্রায় হচ্ছে, আমার কফিন যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে যাবে সেই পথে আমার
অর্জিত সোনা ও রুপা ছড়িয়ে থাকবে |
আর শেষ অভিপ্রায় হচ্ছে, কফিন বহনের সময়
আমার দুইহাত কফিনের
বাইরে ঝুলে থাকবে।'
তার সেনাপতি তখন তাঁকে এই বিচিত্র
অভিপ্রায় কেন করছেন প্রশ্ন করলেন। দীর্ঘ
শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন,
'আমি দুনিয়ার
সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই।
*আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে এই
কারনে বলেছি যে যাতে লোকে অনুধাবন
করতে পারে যে চিকিৎসকেরা কোন
মানুষকে সারিয়ে তুলতে পারে না।
তারা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর
থাবা থেকে রক্ষা করতে অক্ষম।'
*'গোরস্হানের পথে সোনা-
দানা ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা বোঝানোর জন্য যে
সোনা-দানার একটা কণাও আমার
সঙ্গে যাবে না।এগুলো পাওয়ার
জন্য সারাটা জীবন ব্যয় করেছি কিন্তু নিজের
সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারছি না।মানুষ
বুঝুক এসবের পেছনে ছোটা সময়ের অপচয়।'
* 'কফিনের বাইরে আমার হাত
ছড়িয়ে রাখতে বলেছি মানুষকে এটা জানাতে
খালি হাতেই পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছি. . . .
Amader Mahin
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
Rakibul Hasan
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?