Abu Hasan Bappi  یک مقاله جدید ایجاد کرد
52 که در ·ترجمه کردن

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা মারা গেছেন | #older #olderwoman #usa #news

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা মারা গেছেন

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা মারা গেছেন

তিনি 1907 সালে সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন এবং 1915 সালে স্পেনে চলে আসেন।
1 د ·ترجمه کردن

#32
রাত একটা।
বাইরে বেশ ঝড় তুফান হচ্ছে। তীব্র বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। ধূম ধূম বাজ পড়ছে। মনে হচ্ছে সারা শহর আজ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি দরজা জানালা বন্ধ করে কুন্ডুলী পাকিয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। আজ বাসায় কেউ নেই। আমি একা। ঘুমাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না। এমন সময় শুনতে পেলাম দরজায় কে যেন নক করছে।

এত রাতে কে এলো? তাও এই ঝড় তুফানের রাতে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, কে? কে? কোনো সাড়া শব্দ পেলাম না। কিন্তু আবার দরজায় খট খট শব্দ। মেজাজ খুব খারাপ হলো। দরজা খুললাম। দরজা খুলে আমি প্রচন্ড অবাক! রফিক এসেছে। আমার বাল্য বন্ধু। স্কুল কলেজে আমরা একসাথে পড়েছি। রফিককে দেখে আমি সীমাহীন ভয় পেলাম। আমার মাথা কাজ করছে না। সমস্যা হলো রফিক আজ থেকে তিন বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে।

1 د ·ترجمه کردن

#28


---

গল্প ১: শেষ ট্রেন

মফস্বলের ছোট্ট রেলস্টেশন। রাত তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। স্টেশনে একা বসে আছে বৃদ্ধ গোপালচন্দ্র। চোখে অদ্ভুত শূন্যতা। শেষ ট্রেন আসবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। তিনি জানেন—এই ট্রেন ধরলে ছেলেদের শহরের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব, না ধরলে থেকে যাওয়া চিরকালের মতো এই গ্রামে।

স্মৃতির ভেতর ভেসে উঠছে স্ত্রীর মুখ, যিনি গতবছর চলে গেছেন। ছেলে-মেয়েরা শহরে, তাদের ডাক আছে—“বাবা, চলে এসো, একা আর কতদিন?” কিন্তু গোপালের বুক টানে এই গ্রাম, এই পুকুর, এই ক্ষেত।

ট্রেনের সিটি বাজল। গোপাল দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ভিজে উঠল—ছোটবেলার খেলাধুলা, স্ত্রীর সঙ্গে নদীর পাড়ে হাঁটা, সব যেন বিদায় নিচ্ছে।

অবশেষে ট্রেন এল। দরজা খোলা। তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে উঠে গেলেন ভেতরে। জানালা দিয়ে শেষবার তাকালেন গ্রামের দিকে। মনে হল—তিনি একসঙ্গে বিদায় জানালেন অতীতকে, আর স্বাগত জানালেন নতুন জীবনের শুরু।


---

গল্প ২: হারানো দিনলিপি

মিতার বিয়ের পর নতুন বাসায় উঠল। পুরোনো আলমারি খুলতে গিয়ে এক কোণে পেল ধুলোমাখা এক খাতা। কৌতূহল বশত খুলল। অবাক হয়ে দেখল—এটা তার নিজের কলেজ জীবনের দিনলিপি! সে কেমন ছিল, কাকে পছন্দ করত, কোন স্বপ্নগুলোকে বুকে লালন করত—সবই লেখা।

পাতা উল্টাতে উল্টাতে চোখে জল এল। কারণ সেখানে লিখা—“আমি একদিন ভালো লেখক হবো।” অথচ চাকরি-বিয়ে-গৃহস্থালির ভিড়ে সে স্বপ্ন যেন চাপা পড়ে গেছে।

দিনলিপি তাকে মনে করিয়ে দিল—সে এখনো লিখতে পারে। সেদিন রাতে খাতাটা বুকে চেপে প্রতিজ্ঞা করল—আবার লিখবে। হয়তো পেশাদার লেখক হবে না, তবু তার ভেতরের স্বপ্নটা আবার বাঁচবে।


---

গল্প ৩: ভিখারির গান

ঢাকার ব্যস্ত মোড়ে বসে আছে এক ভিখারি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হাতে ভাঙা একটুখানি একতারা। মানুষ তাকে কয়েন দেয় না, তবু সে গান ছাড়ে না।

এক তরুণ দাঁড়িয়ে শোনে। সুরে যেন কষ্ট আর আশার মিশ্রণ। তরুণটি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে—“আপনি ভিক্ষা করেন কেন? এত সুন্দর গান গাইতে পারেন!”

ভিখারি হেসে বলে—“গান আমার জীবন, ভিক্ষা আমার বাঁচা। দুটো মিলে আমি টিকে আছি।”

তরুণটি সেদিন তার ভিডিও করে অনলাইনে দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে সেই ভিখারি হয় ভাইরাল। গানের কদর মেলে, আর ভিক্ষার বদলে আবার গানই হয়ে ওঠে তার রুজি।


---

গল্প ৪: ছোট্ট উপহার

এক ছোট্ট মেয়ে, নাম টুনি। খুব গরিব ঘরে জন্ম। স্কুলে সবাই বড় ব্যাগ, রঙিন খাতা নিয়ে আসে। টুনির কাছে নেই কিছুই।

একদিন শিক্ষক তাকে ডেকে দিলেন। হাতে দিলেন একটি নতুন খাতা আর কলম। টুনির চোখ ঝলমল করে উঠল। সে যেন দুনিয়ার সবচেয়ে দামি উপহার পেল।

সেই খাতাতেই সে প্রথম অক্ষর লিখল, প্রথম আঁকিবুকি করল। ছোট্ট সেই উপহার তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হয়ে গেল।


---

গল্প ৫: নীলচোখ কুকুর

বৃষ্টির রাতে রাস্তার পাশে কাঁদছিল এক কুকুরছানা। তার চোখ ছিল আশ্চর্য নীল। রিমা তাকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে এল।

পরিবার প্রথমে মানতে চাইছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই কুকুরটিকে ভালোবেসে ফেলল।

কয়েক বছর পর কুকুরটা রিমাকে একবার জীবন বাঁচাল—রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছিল, সে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে জাগিয়ে দেয়।

রিমা বুঝল—এক বৃষ্টির রাতে যাকে সে আশ্রয় দিয়েছিল, সে-ই হয়ে উঠেছে তার জীবনের রক্ষাকর্তা।


---

👉 এগুলো প্রথম ৫টি গল্প। চাইলে আমি এভাবে বাকিগুলো লিখে দিতে পারি, মোট ২০টা পূর্ণ হবে।

আপনি কি চান আমি এখনই বাকি ১৫টা গল্প লিখে দিই, নাকি কয়েক ভাগে দেব যাতে পড়তে সহজ হয়?

1 د ·ترجمه کردن

#21
এই কথা শুনে বৃ্দ্ধ আফসোস করে উঠলো!



সে মনে মনে ভাবলো,'হায় হায়!যদি আমি শুধু একবার জানতাম যে আমি আমার নিজের বাড়ি তৈরী করছি! তাহলে এটা আমার জীবনে করা সবচেয়ে ভাল কাজ হতো!'



বাস্তবেও আমরা প্রতিটা দিন আমাদের জীবনকে এই বাড়ির মতই তৈরী করে চলেছি। কিন্তু আমরা প্রায়ই তা ভুলে যাই। আর তাই সব কাজে আমাদের বেস্ট টার চেয়ে অনেক কম চেষ্টাটা করি,অনেক কম পরিশ্রমটা দেই।আমরা যদি আজ এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারি তবে আমরা হয়তো আমাদের সেরা পরিশ্রমটাই দিতে পারবো।

1 د ·ترجمه کردن

#20
একজন বয়স্ক রাজমিস্ত্রী তার কাজ থেকে অবসর নিতে চাইলো। তাই সে তার মালিকের কাছে গিয়ে বললো,’বস,আমি এই বাড়ি বানানোর কাজ থেকে অবসর নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সাথে সময় কাটাতে চাই।‘

তার মালিক এতে কিছুটা দুঃখ পেল কারন সে ছিলো সবচেয়ে দক্ষ ও কর্মঠ রাজমিস্ত্রী। সে বললো,'ঠিক আছে,কিন্তু তুমি কি চলে যাওয়ার আগে আর একটি মাত্র বাড়ি বানাতে আমাদের সাহায্য করবে?’ বয়স্ক রাজমিস্ত্রী এই প্রস্তাবে স্বানন্দে রাজী হয়ে গেল।



কিন্তু কাজ শুরু করার পর দেখা গেল তার মন সেখানে ছিল না এবং সে সবসময় তার অবসরের কথা ভেবে অন্যমনস্ক থাকতো। সবসময় সে বাড়ির চিন্তা করতো।তাই এর আগে যত কাজ সে করেছিলো এই কাজটাই তার করা সবচেয়ে খারাপ কাজ হয়ে গেল।



যখন সে বাড়িটি তৈরী করা শেষ করলো তখন তার মালিক বাড়িটি দেখতে এলো এবং বৃদ্ধের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে বললো,’এটা এখন থেকে তোমার বাড়ি,তোমার প্রতি আমার উপহার।'

1 د ·ترجمه کردن

#14একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-

“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।

মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-

“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।

ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-

“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।

ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো।

রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।