যখন খিদে লাগে
বসরার নাম শুনেছ তো?
গোলাপফুলের শহর। খুব বিখ্যাত জায়গা। বসরার স্বর্ণকারদের দোকানে বসে গল্প করছিল এক পথিক। পথিক ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে।
যায় এক দেশ থেকে আরেক দেশে। সে বলছিল—একবার মরুভূমির মধ্যে পথ হারিয়ে ফেললাম। সে এক দারুণ ভয়ানক অভিজ্ঞতা।
এদিকে যাই, ওদিকে যাই, পথ আর খুঁজে পাই না। পেটে খিদে, তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছে, দুশ্চিন্তায় ভয়ে আতঙ্কে শরীর হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছে।
আমি ভেবে নিলাম আজ আমার জীবনের শেষদিন। মৃত্যু এখন আমার সামনে উপস্থিত। পথ খুঁজে পাওয়ার কোনো উপায়ই আর পাচ্ছি না।
এমন সময়—কিছুদূরে দেখতে পেলাম একটা থলে পড়ে আছে। মনটা কিছুক্ষণের জন্যে আনন্দে ভরে গেল-যাক, থলেতে খাবারদাবার হয়তো কিছু পাওয়া যাবে। দ্রুত ছুটে গেলাম থলেটার কাছে।
হায়রে কপাল, থলেটা খুলে দেখি-সেখানে এক মূল্যবান পাথর। আলো ঝলমল করছে। পরম দুঃখে পাথরটা আমি ছুড়ে ফেলে দিলাম। তারপর আবার খাবারের সন্ধানে, পানির সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম।
স্বর্ণকারদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করল–পাথরটা ফেলে দিলে কেন? ওটা সঙ্গে রাখলেই পারতে। পরে ওটা তোমার কাজে লাগত।
পথিক মৃদু হাসল। বলল—ক্ষুধায় কাতর ব্যক্তির কাছে সামান্য খাবার পানির মূল্য পৃথিবীর সকল মণিমানিক্যের মূল্যের চেয়েও অনেক বেশি।
⇐⇐⇐ ⇒⇒⇒
Nila Islam
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?