গল্প: “চিঠির শেষ লাইন”
তৃষা আর নেহাল—একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। তৃষা ছিল হাসিখুশি, আর নেহাল ছিল একটু চুপচাপ, গভীর চিন্তায় ডুবে থাকা এক যুবক। প্রথমবার চোখে চোখ পড়েছিল লাইব্রেরির কর্নারে, তারপর ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল এক নিঃশব্দ ভালোবাসা।
তারা হাতে হাত রেখে স্বপ্ন দেখত—একসাথে পৃথিবীটা ঘুরে দেখার, একসাথে বইয়ের পাতা ওল্টানোর, আর একসাথে বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখার।
কিন্তু একদিন হঠাৎ নেহাল দূরে চলে গেল। কোনো ব্যাখ্যা ছাড়া, কোনো চিঠি ছাড়া। তৃষা শুধু অপেক্ষা করে গেল—প্রতিদিন সেই কর্নারে, যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সব।
বছর পাঁচেক পর, একদিন ডাকবাক্সে একটা চিঠি পেল তৃষা। প্রেরকের নাম—নেহাল।
চিঠিতে লেখা ছিল—
“তৃষা,
তোমাকে ছেড়ে যেতে হয়েছিল কারণ আমার সময় শেষ হয়ে আসছিল। ডাক্তার বলেছিল ক্যানসার—শেষ স্টেজ।
তোমাকে কাঁদিয়ে যেতে পারতাম না।
তুমি যেন আমার স্মৃতির মধ্যে বাঁচো, সুখে থেকো।
ভালোবাসা কখনো মরে না, শুধু রূপ পাল্টায়।
– নেহাল”
তৃষা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিঠির শেষ লাইনটায় হাত বুলিয়ে বলল,
"ভালোবাসা শেষ হলে চিঠির মতোই—শেষ লাইনটাই সবচেয়ে বেশি মনে থাকে।"
Altab My Altab mia
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?