34 i ·Översätt

গল্প: “জঙ্গলের ভেতর আলো”

রহিম ছিল গ্রামের এক গরিব কাঠুরিয়া। প্রতিদিন ভোরবেলা কুয়াশা ভেদ করে বের হতো কুড়াল কাঁধে নিয়ে। সে গিয়ে জঙ্গলে শুকনো ডাল কেটে নিয়ে আসত, আর বাজারে বিক্রি করে যা পেত, তা দিয়েই তার আর ছোট্ট মেয়েটা রুনার সংসার চলত।

রুনা জন্ম থেকেই অসুস্থ। ভালো চিকিৎসা দরকার ছিল, কিন্তু টাকার অভাবে কিছুই করা যেত না। তবুও রহিম হাসিমুখে মেয়েকে বলত—
"তুই একদিন স্কুলে যাবি, বই পড়বি, আর আমাকে পড়ে শুনাবি।"

একদিন জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়ে রহিম একটা ছোট ব্যাগ খুঁজে পেল। খুলে দেখে—ভিতরে অনেক টাকা। চারদিকে কেউ নেই, শুধু পাখির ডাক আর বাতাসের শব্দ।

তার ভেতরে লড়াই শুরু হলো—এ টাকায় তো রুনার চিকিৎসা হবে, ঘরটা মেরামত হবে, খাবার জুটবে…

কিন্তু রাতে সে সেই টাকা নিয়ে গেল থানায়। বলল, "আমি একজন গরিব কাঠুরিয়া, কিন্তু চোর না। এটা কেউ হারিয়েছে।"

খবরটা ছড়িয়ে পড়ল। টাকার মালিক ছিল এক শহরের শিক্ষক, যিনি জঙ্গলে বেড়াতে এসে হারিয়েছিলেন ব্যাগটা। তিনি কৃতজ্ঞ হয়ে রহিমকে পুরস্কার দিলেন, রুনার চিকিৎসার দায়িত্বও নিলেন।

কয়েক মাস পর, রুনা স্কুলে ভর্তি হলো। রহিম চোখ মুছে বলল,
"আমি কাঠ কেটে ঘর বানাতে পারি, কিন্তু সততা কেটে একটা ভবিষ্যৎ বানানো যায়—এটা আজ জানলাম