গল্প: “রিয়ার শেষ চিঠি”
রিয়া সব সময় হাসিখুশি থাকতো। বন্ধুরা বলত, “তুই তো সব সময় পজিটিভ!” কিন্তু কেউ জানতো না, তার ভেতরে একটা গভীর শূন্যতা বাস করতো।
রিয়া ছোটবেলা থেকেই চাপের মধ্যে বড় হয়েছে। বাবা-মায়ের চাওয়া, সমাজের প্রত্যাশা, নিজের অজানা ভয়—সব মিলে একটা অদৃশ্য জাল বুনে ফেলেছিল তার চারপাশে। সে চেষ্টা করেছিল ভালো ছাত্রি হতে, ভালো মেয়ে হতে, সবার মন জয় করতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন হঠাৎ একদিন সে প্রেমে পড়ে। কিন্তু সেই সম্পর্কটা হয়ে ওঠে বিষাক্ত। মানসিক নির্যাতন, সন্দেহ, এবং বারবার ভাঙনের পরেও সে নিজেকে দোষ দিতে থাকল—“সব আমার দোষ...”
এক সন্ধ্যায় রিয়ার ঘর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে মা দরজা ভেঙে ঢুকলেন। বিছানায় চুপচাপ পড়ে ছিল রিয়া। পাশে একটা চিঠি—
> “আমি ক্লান্ত, মা। কারো দোষ নয়, শুধু আমি নিজেকে আর টানতে পারছি না। সবকিছুর চাপে আমি হিমশিম খাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করো।
রিয়া”
রিয়ার মৃত্যু ছিল না শুধুই আত্মহত্যা—তা ছিল সমাজের চাপ, ভালো থাকার ভান, মানসিক অসুস্থতার অবহেলার একটা নির্মম পরিণতি।
MD Pranto
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟