Abu Hasan Bappi  یک مقاله جدید ایجاد کرد
51 که در ·ترجمه کردن

দেশব্যাপী বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ | #mosquito #degue #malaria #news #bangladeshnews

দেশব্যাপী বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

দেশব্যাপী বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

28শে আগস্ট, 2024 পর্যন্ত, গত 24 ঘন্টায় দেশে ডেঙ্গুজনিত কোনো মৃত্যু হয়নি।
3 که در ·ترجمه کردن

​পটভূমি
​২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে একটি রায় দেয়। এই রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। মূলত "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর ব্যানারে এই আন্দোলন শুরু হলেও, এটি দ্রুতই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
​আন্দোলনের সময়রেখা
​১-১৫ জুলাই: কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কয়েকদিন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না আসায় এবং উল্টো দমন-পীড়ন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
​১৬ জুলাই: এই দিনটি আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এই মৃত্যুর খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বের করে দেয়।
​১৭-১৯ জুলাই: আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় সারা দেশে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। বিশেষ করে ১৯ জুলাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই সময়ের সহিংসতাকে পরবর্তীতে "জুলাই গণহত্যা" নামে অভিহিত করা হয়।
​১৭ জুলাই: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোটা আন্দোলনের সমালোচনা করেন। ওই দিন রাতে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
​১৮ জুলাই: মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে এবং আন্দোলনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়ক ও রেলপথ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন স্থবির হয়ে যায়।
​২১ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং ৭% কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
​২৩ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, ততক্ষণে আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি তোলেন।
​২৪ জুলাই: আন্দোলনকারীরা "অসহযোগ আন্দোলন"-এর ডাক দেন। এই অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া। এতে দেশজুড়ে সরকারের কার্যকারিতা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
​৫ আগস্ট: দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
​ফলাফল
​জুলাই মাসের এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

4 که در ·ترجمه کردن

বয়স বাড়ছে, কিন্তু বুদ্ধি না!
নিজেকে দেখে এখন মনে হয়, বিয়েও করবো, আবার কার্টুনও দেখবো!
আবেগ আর পাগলামি – দুটোই এখনো ১০০% চার্জে চলে! 🔋
#moodyme #adultingfail #funnymood

4 که در ·ترجمه کردن

ওপেন সোর্স এআই কীভাবে চীনকে হৃদয় এবং বাজারের শেয়ার জিততে সহায়তা করছে

বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) শুধু প্রযুক্তির উন্নয়নেই নয়, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। AI এর এই প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে থাকলেও, চীন দ্রুত তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। বিশেষ করে ওপেন সোর্স AI-এর মাধ্যমে চীন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রেমীদের হৃদয় জয় করছে এবং একই সঙ্গে বিশাল বাজার শেয়ার অর্জন করছে।

ওপেন সোর্স AI কী?

ওপেন সোর্স AI হলো এমন এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যার সোর্স কোড উন্মুক্ত রাখা হয়। এটি যে কেউ দেখতে, পরিবর্তন করতে এবং উন্নয়ন করতে পারে। যেমন GPT, LLaMA, বা Baichuan-এর কিছু সংস্করণ ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। এই নীতির ফলে গবেষক, শিক্ষার্থী ও উদ্যোক্তারা কম খরচে বা বিনামূল্যে AI প্রযুক্তি ব্যবহার ও উন্নয়ন করতে পারেন।

চীনের ওপেন সোর্স উদ্যোগ

চীন সরকার ও বড় বড় টেক কোম্পানিগুলো — যেমন Baidu, Alibaba, SenseTime এবং Huawei — নিজেদের AI মডেল ওপেন সোর্স করছে। Baichuan, InternLM, এবং ChatGLM এর মতো চীনা ওপেন সোর্স ভাষা মডেলগুলো ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এরা ইংরেজির পাশাপাশি চাইনিজ ভাষায় শক্তিশালী পারফর্ম করছে, যা একে বিশ্বজুড়ে বহুভাষাভিত্তিক ব্যবহারে উপযোগী করে তুলছে।

কেন চীন ওপেন সোর্স AI-কে গুরুত্ব দিচ্ছে?

১. বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা: ওপেন সোর্সের মাধ্যমে চীনা AI মডেলগুলো আন্তর্জাতিক ডেভেলপারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এটি এক ধরনের 'সফট পাওয়ার', যা প্রযুক্তির মাধ্যমে চীনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলছে।

২. তৃতীয় বিশ্বের আকর্ষণ: আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো উচ্চমূল্যের পশ্চিমা প্রযুক্তি কেনার সামর্থ্য না রাখলেও ওপেন সোর্স চীনা মডেল ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে।

৩. স্থানীয়করণে সুবিধা: চীনা ওপেন সোর্স মডেলগুলো সহজে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো করে তৈরি করা হচ্ছে, যা মার্কিন মডেলগুলোর তুলনায় অনেক সময় বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
মার্কিন ওপেন সোর্স বনাম চীনা ওপেন সোর্স

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন OpenAI, Google বা Anthropic অনেক সময় নিজেদের উন্নত AI মডেলগুলো সম্পূর্ণ ওপেন রাখে না। তবে চীনা কোম্পানিগুলো কম বাধা দিয়ে তাদের মডেল ওপেন করে দিচ্ছে, যাতে করে বিশ্বের যে কোনো দেশ সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ডেভেলপার ও উদ্যোক্তারা চীনা মডেল বেছে নিচ্ছেন।

অর্থনৈতিক প্রভাব

চীনের ওপেন সোর্স কৌশলের ফলে তারা শুধু প্রযুক্তিগত ভাবেই নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ:

ওপেন সোর্স মডেল ব্যবহার করে গড়ে ওঠা অ্যাপ বা সার্ভিসের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তারা চীনা ক্লাউড সেবা গ্রহণ করছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা চীনা ওপেন সোর্স মডেল নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন করছে, যার ফলে চীনের প্রযুক্তি রপ্তানি ও সেবা বাড়ছে।

রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক

চীন এই ওপেন সোর্স কৌশলকে শুধু অর্থনৈতিক বা প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে নয়, বরং কৌশলগত ভাবেও ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরুদ্ধে এটি একটি কৌশলগত প্রতিক্রিয়া। ওপেন সোর্সের মাধ্যমে চীন বলছে — “আমরা সবাইকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছি” — যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি উন্মুক্ত মনে হয়।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

তবে চীনের এই ওপেন সোর্স কৌশলের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে:

নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে অনেক দেশ সন্দিহান।

কিছু চীনা মডেলের মান এখনও পশ্চিমা মডেলের তুলনায় দুর্বল।

ওপেন সোর্স হলেও অনেক সময় চীন সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে এই প্রযুক্তিগুলোর ওপর।

উপসংহার

ওপেন সোর্স AI এখন কেবল একটি প্রযুক্তি কৌশল নয়, বরং একটি বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারকারী হাতিয়ার। চীন অত্যন্ত কৌশলীভাবে এটি ব্যবহার করছে — তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পাশে টানছে, উন্নয়নশীল উদ্যোক্তাদের সহায়তা করছে এবং নিজেদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই পথেই চীন হৃদয় এবং বাজার দুই-ই জিততে সক্ষম হচ্ছে। তবে এই প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেয়, তা নির্ভর করবে বিশ্ব রাজনীতি ও প্রযুক্তির ভারসাম্যের ওপর।

image
6 که در ·ترجمه کردن

গল্প ৪: মেছোভূত

হরিপদ জেলে সারাদিন খেটেও সেদিন ভালো মাছ পায়নি। শেষে রাতের দিকে একটা বড় রুই মাছ তার জালে উঠল। খুশিমনে সে বাড়ির দিকে রওনা দিল। পথে একটা বাঁশবাগান পড়ত। সেই বাগানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার নাকে পোড়া মাছের গন্ধ এলো। তার মনে হলো, কেউ যেন তার মাছের থলি ধরে টানছে। হরিপদ ভাবল, হয়তো শেয়াল। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখল, কেউ নেই। অথচ টানটা বাড়ছে। হঠাৎ এক বিটকেল গলায় কে যেন বলে উঠল, "মাছটা দিবি না?" হরিপদ ভয়ে থলি ফেলে দৌড় দিল। পেছন থেকে খ্যাকখ্যাক হাসির শব্দ ভেসে আসছিল। বাড়ি ফিরে সে জ্বরে পড়ল। পরদিন সকালে লোকেরা দেখল, বাঁশবাগানের মধ্যে মাছের কাঁটাগুলো পড়ে আছে, যেন কেউ চেটেপুটে খেয়েছে।


#মেছোভূত #বাংলাভূতেরগল্প #গ্রামেরভয় #হররগল্প #folklore

6 که در ·ترجمه کردن

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ভবিষ্যতের চাকরি: বদলে যাচ্ছে কাজের দুনিয়া
বর্তমান যুগে ‍কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) একটি বহুচর্চিত টপিক। প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, এবং সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে এই AI। আজকের প্রজন্মের ‍শিক্ষার্থী, চাকরিপ্রার্থী কিংবা উদ্যোক্তা—সবাই এর প্রভাব অনুভব করছেন। বিশেষ করে, ভবিষ্যতে চাকরির জগতে এর প্রভাব কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন।

আজকের এই ব্লগ পোস্টে, আমরা জানব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভবিষ্যতের চাকরি কেমন হবে, কোন পেশাগুলো হারিয়ে যেতে পারে, আবার কোন নতুন পেশা তৈরি হতে পারে, এবং এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের কীভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আসলে কী?
AI (Artificial Intelligence) মানে এমন একটি মেশিন বা সফটওয়্যার, যেটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং শেখার ক্ষমতা রাখে। সহজভাবে বললে, আমরা যেসব কাজ সাধারণত মানুষকে করতে দেই—যেমন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, রাস্তা চিনে চলা, ছবি চিনে ফেলা বা এমনকি গান তৈরি করাও—এখন সেইসব কাজ অনেকাংশে AI করে ফেলছে।

AI-এর উদাহরণ হতে পারে:

ChatGPT (যা এখন আপনি ব্যবহার করছেন)
Google Assistant, Siri, Alexa
Facebook বা YouTube-এর অটোমেটেড রিকমেন্ডেশন
Self-driving car
Automated customer service chatbot ইত্যাদি।
AI কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে?
দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা
ভুল কম হয়
২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে
একসাথে অনেক মানুষের কাজ করতে পারে
এই সুবিধার কারণেই বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত AI প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।

ভবিষ্যতের চাকরি নিয়ে উদ্বেগ কেন?
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে दुनिया জুড়ে প্রচুর প্রচলিত চাকরি AI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ,
🖥️ ব্যাঙ্কে কাস্টমার সার্ভিস → Chatbot
🧾 অ্যাকাউন্টিং → Automated software
🔧 মেশিন অপারেটর → রোবটিক প্রোগ্রাম
📄 কনটেন্ট রাইটিং → AI লেখক

এ কারণেই অনেকেই ভাবছেন, “আমার চাকরি কি থাকবে?” কিংবা “আমি কী শিখবো, যাতে ভবিষ্যতে চাকরি পাই?”

কোন চাকরিগুলি ঝুঁকিতে আছে?
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
কাস্টমার সার্ভিস রিপ্রেজেন্টেটিভ
টেলিমার্কেটিং
রিটেইল ক্যাশিয়ার
সহজ গ্রাফিক ডিজাইনার
কনটেন্ট লেখক বা ট্রান্সলেটর (সাধারণ মানের)
এই ধরনের চাকরিগুলি খুব সাধারণ এবং নিয়মিত। এগুলোর জন্য বিশ্লেষণ বা দূরদর্শী চিন্তার তেমন চাহিদা নেই, তাই এগুলিকে AI সহজেই রিপ্লেস করতে পারে।

AI-র যুগে কোন স্কিল এবং পেশা থাকবে এগিয়ে?
ভয় পাওয়ার কিছু নেই! AI কিছু চাকরি কেড়ে নিলেও নতুন অনেক ধরনের পেশা তৈরি হচ্ছে। যেমন:

🧠 ডেটা সায়েন্টিস্ট ও AI ইঞ্জিনিয়ার
AI-র যত উন্নয়ন হচ্ছে, ততই এই পেশার চাহিদা বাড়ছে। যারা AI তৈরি করে, মডেল তৈরি করে, তাদের প্রয়োজন সবসময় থাকবে।

🎨 ক্রিয়েটিভ স্কিল (গানের রচনা, সিনেমার চিত্রনাট্য, ডিজাইন ইত্যাদি)
AI এখনও মানুষের সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেনি।

🤝 সাইকোলজিস্ট, কনসালট্যান্ট, হেলথ কেয়ার প্রফেশনাল
মানুষের আবেগ, সম্পর্ক এবং ব্যবহার বিশ্লেষণ—এ ব্যাপারে মানুষই সেরা।

💡 ডিজিটাল মার্কেটিং ও SEO বিশেষজ্ঞ
যেহেতু অনলাইন বিজনেস বাড়ছে, তাই এই স্কিলগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

📈 ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট ওয়ার্ক
যারা নিজের দক্ষতা দিয়ে ক্লায়েন্টের জন্য কাজ করতে পারেন (যেমন, প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর), তাঁদের চাহিদা থাকবে।

AI থেকে নিজেকে রক্ষা করতে কী শিখবো?
বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে নিচের কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি:

✅ ক্রিটিক্যাল থিংকিং ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা
✅ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা
✅ AI ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
✅ ডেটা অ্যানালাইসিস ও প্রোগ্রামিং (Python, SQL)
✅ Digital Communication ও Presentation দক্ষতা
✅ Freelancing স্কিল (Upwork/Fiverr প্ল্যাটফর্ম চেনা)

আমরা কী করবো এখন?
📌 আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নিন।
📌 প্রচলিত কাজের পাশাপাশি প্রযুক্তিপ্রধান কাজ শেখার চেষ্টা করুন।
📌 অনলাইন কোর্সে অংশ নিন – যেমন Coursera, Udemy, YouTube ইত্যাদি।
📌 ChatGPT বা Midjourney, Canva, Notion ইত্যাদি AI টুলগুলোর ব্যবহার শেখার চেষ্টা করুন।

প্রযুক্তি কখনও কারও শত্রু নয়, যারা শিখতে আগ্রহী—AI তাদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে।

উপসংহার
AI আমাদের জীবনকে সহজ করছে ঠিকই, তবে এটি আমাদের প্রচলিত জীবনধারা এবং চাকরির জগতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে। যাদের মধ্যে শেখার আগ্রহ আছে, পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা আছে—AI তাঁদের জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে।

তাই আর দেরি না করে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন পরিবর্তিত ভবিষ্যতের জন্য। নিজের স্কিল উন্নয়ন করুন, প্রযুক্তিকে সঙ্গী বানিয়ে এগিয়ে যান।

"চাকরি হারানোর ভয় নয়, বদলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শিখুন।"

✍️ লেখক: Sahed
📅 তারিখ: ৭ জুলাই ২০২৫
🏷️ #ai #artificialintelligence #futureofjobs #skilldevelopment #বাংলা_ব্লগ
#face #aface #aface1