শুভ্র আবার ডায়েরিটা খুলে পড়তে শুরু করল। আগের দিন তারা তাড়াহুড়োয় পুরোটা পড়তে পারেনি। আজ তারা ধীরে ধীরে প্রতিটি পাতা উল্টাতে লাগল। ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা ছিল, "আমার অভিশাপ তখনই শেষ হবে, যখন কেউ আমার অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করবে।" কিন্তু সেই অসমাপ্ত কাজটি কী, তা কোথাও উল্লেখ করা ছিল না।
হঠাৎ, তাদের চোখ পড়ল ঘরের এক কোণে রাখা একটি পুরনো সিন্দুকের দিকে। সিন্দুকটি তালাবন্ধ ছিল। তাদের মনে হল, হয়তো এর ভেতরেই সেই রহস্য লুকিয়ে আছে।
তারা সিন্দুকটি খোলার চেষ্টা করল, কিন্তু সেটি ভাঙা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। অনেক চেষ্টার পর তারা সিন্দুকটি খুলতে সক্ষম হলো। সিন্দুকের ভেতরে তারা একটি পুরনো কাঠের বাক্স খুঁজে পেল। বাক্সটি খুলতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে এল একটি সোনার (মেডেল) এবং একটি চিঠি।
Jubayer25
রাত ১২টা। নীলা ঘরের আয়নার দিকে তাকিয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিল। হঠাৎ আয়নায় সে দেখতে পেল, পেছনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। ভয়ে ঘুরে তাকাল—কেউ নেই। আবার আয়নায় তাকাল—এইবার সেই ছায়াটা হাসছে!
নীলা পেছনে হাঁটা দিল, কিন্তু আয়নার ছায়া তার দিকেই এগিয়ে আসছে। আচমকা আয়না থেকে একটা হাত বেরিয়ে এল এবং নীলার গলা চেপে ধরল।
পরদিন সকালে, সবাই শুধু ভাঙা আয়নাটা পেল—নীলা কোথাও নেই।
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟