ছায়ার শহর
রাতের বেলায় লোকালয়ের এক কোণে একটি পুরনো বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে শতাব্দীর সাক্ষী হয়ে। কেউ সেখানে যায় না, কারণ লোকমুখে শোনা যায়, সেই বাড়িতে নাকি এক "ছায়া" বাস করে—যে কারও নাম জেনে গেলে, তার জীবন বদলে যায়।
রিদয়, একজন তরুণ আলোকচিত্রী, শহরে এসে বাড়িটির কথা শুনে উৎসাহী হয়ে ওঠে। রাতে সে ক্যামেরা নিয়ে সেখানে যায়। বাড়ির দরজা খোলা, যেন কাউকে ডাকছে। ভিতরে ঢুকতেই চারপাশে ঝুলন্ত পর্দা আর পুরনো ছবি দেখা গেল, যেগুলোর মুখগুলো অস্পষ্ট—কেবল ছায়া।
হঠাৎ করেই একটি ছবির ফ্রেমে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পায় রিদয়। কিন্তু সেটা আর নড়ছে না—একেবারে স্থির। সে ভয় পেয়ে পেছনে তাকায়, কিন্তু তার পেছনে কেউ নেই। ঘরজুড়ে শুধু এক শব্দ—“তুমি এখন আমাদের একজন।”
ভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসে রিদয়। কিন্তু ক্যামেরার ছবি ঘেঁটে দেখে, সব ছবিতে রয়েছে একটাই অবয়ব—তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছায়ামূর্তি।
পরদিন সকাল থেকে সে বুঝতে পারে, তার ছায়া তাকে অনুসরণ করছে না, বরং ছায়াটিই এখন মূল রূপ ধারণ করছে। সে মানুষদের মাঝে চলাফেরা করছে, কিন্তু তার নিজের অস্তিত্ব যেন ফিকে হয়ে আসছে।
শেষমেশ, শহরে আর কেউ রিদয়ের নাম উচ্চারণ করে না। সে যেন হারিয়ে গেছে ছায়ার শহরে, চিরতরের জন্য।
"গল্পটি ভালো লেগে থাকলে ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন"
Md Mamun
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?