32 ভিতরে ·অনুবাদ করা

রহস্যময় গল্প: রাতের ছায়া

শীতল এক সন্ধ্যা, নিঃস্তব্ধ গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি পুরনো বাড়ি। গল্প ছিল, ওই বাড়ির ঘড়ির কাঁটা নাকি মাঝরাতে থেমে যায়, আর তখনই শুরু হয় কিছু অদ্ভুত ঘটনা।

রাহুল, শহর থেকে আসা এক তরুণ গবেষক, ঠিক করল এই রহস্যের সমাধান করবে। সে বাড়িটিতে এক রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল। চারপাশে ঝোপঝাড়, জানালার ফাঁকে চাঁদের আলো এসে পড়ছে ঘরে। রাত বারোটা বাজতেই ঘড়ি থেমে গেল। মুহূর্তেই বাতাস ভারী হয়ে উঠল। আচমকা দরজার কড়া নড়ে উঠল, অথচ বাইরে কেউ নেই।

রাহুল সাহস করে দরজা খুলল। দরজার সামনে পড়ে ছিল একটি পুরনো ডায়েরি। তাতে লেখা— “আমি এখনো এখানে আছি, আমার কথা কেউ জানে না…” ডায়েরির শেষে ছিল একটি নাম— “অরুণা”।

পরদিন সকালে গ্রামের এক বৃদ্ধা জানালেন, পঞ্চাশ বছর আগে অরুণা নামে এক মেয়ে ঐ বাড়িতে নিখোঁজ হয়েছিল। কারও কিছু জানা হয়নি। রাহুল বুঝল, অরুণার আত্মা হয়তো এখনো অপেক্ষায় আছে তার সত্য প্রকাশের।

সে ডায়েরিটি গ্রামের প্রশাসনের হাতে তুলে দিল। আজও বাড়িটি আছে, কিন্তু মাঝরাতে ঘড়ি আর থামে না। রহস্য কি তবে শেষ? নাকি… এটা কেবল শুরু?