শূন্যতার চিঠি
রাত গভীর, জানালার বাইরে কুয়াশা জমেছে। অনির্বাণ টেবিলে বসে পুরোনো একটা চিঠি পড়ছে—লেখা তার মা’র হাতে, আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে।
“বাড়ি ফিরে আয়, বাবা,” মা লিখেছিলেন, “তুই চলে যাওয়ার পর ঘরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে।”
অনির্বাণ তখন শহরে নতুন চাকরি পেয়েছে, ব্যস্ত জীবন, নতুন বন্ধু। বাড়ির কথা মনে পড়লেও সময় হয়ে ওঠেনি ফেরা। চিঠি পড়ে পড়েই সে ফেলেছিল ড্রয়ারে, আর খোলা হয়নি।
আজ, বহু বছর পর সে ফিরে এসেছে গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু এবার কেউ দরজা খুলে দেয় না।
ঘরের প্রতিটি কোণে জমেছে ধুলোর স্তর। মায়ের ছবি টাঙানো দেওয়ালে, নিচে জ্বলছে একটা ছোট্ট প্রদীপ। প্রতিবেশী বলেছিল, “তোমার মা শেষ দিন পর্যন্ত তোমার ফেরার অপেক্ষায় ছিল।”
চিঠিটা হাতে নিয়ে অনির্বাণ জানালার দিকে তাকায়। অশ্রু ঝরে পড়ে কাগজে।
বহুদিনের দেরি বুঝি সব ক্ষমা করে দেয় না।