32 میں ·ترجمہ کریں۔

* ভাষাতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ: "মায়া" শব্দটির উৎস সংস্কৃত √মা (মা) ধাতু থেকে, যার অর্থ "পরিমাপ করা", "তৈরি করা", বা "গঠন করা"। এই মূল অর্থটি সম্ভবত জগৎকে "নির্মিত" বা "গঠিত" হিসেবে দেখার ধারণার সাথে সম্পর্কিত, যা কিনা একটি বিভ্রমের মতো মনে হতে পারে।
* তুলনামূলক ধর্ম: যদিও "মায়া" শব্দটি বিশেষভাবে ভারতীয় ধর্মগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ, অন্যান্য ধর্মীয় ও দার্শনিকtraditions-এও জগতের ক্ষণস্থায়িত্ব এবং আপাত বাস্তবতার ধারণা খুঁজে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমা দর্শনে প্লেটোর "ফর্মের তত্ত্ব" (Theory of Forms) বাস্তবতার একটি অতীন্দ্রিয় স্তরের কথা বলে, যেখানে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ ছায়ামাত্র। যদিও সরাসরি "মায়া" শব্দটির ব্যবহার নেই, ধারণাটির একটি সমান্তরাল দেখা যায়।
* আধুনিক বিজ্ঞান: যদিও বিজ্ঞান "মায়া"কে ধর্মীয় বা দার্শনিক অর্থে ব্যাখ্যা করে না, তবে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান এবং স্নায়ুবিজ্ঞান আমাদের উপলব্ধির সীমাবদ্ধতা এবং কীভাবে আমাদের মস্তিষ্ক বাস্তবতাকে "গঠন" করে, সে সম্পর্কে আকর্ষণীয় ধারণা দেয়। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কিছু ব্যাখ্যা এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা আমাদের ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার আপাত দৃঢ়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
* সাংস্কৃতিক প্রভাব: ভারতীয় সংস্কৃতিতে "মায়া" শব্দটি গভীরভাবে প্রোথিত। এটি শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং দৈনন্দিন ভাষার একটি অংশ। বিভিন্ন লোককাহিনী এবং উপকথায় মায়ার ধারণা বিভিন্নভাবে চিত্রিত হয়েছে।
* ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: আমরা ব্যক্তিগতভাবেও "মায়া" অনুভব করতে পারি যখন কোনো শক্তিশালী আবেগ বা আকাঙ্ক্ষা আমাদের বাস্তবতাকে ভিন্নভাবে দেখতে প্ররোচিত করে। যেমন, প্রেমের "মায়ায়" আমরা প্রিয়জনের ত্রুটিগুলি উপেক্ষা করতে পারি, অথবা লোভের "মায়ায়" আমরা অন্যায় কাজ করতে পারি।