32 안에 ·번역하다

সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজা

🕯️ অধ্যায় ৩: “যে ছেলেটা আর ছিল না”

অর্ণব অনেকক্ষণ ধরে ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইল। তার মনের গভীরে কোথাও যেন সেই মুখটা কাঁপা কাঁপা আলোয় ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু একবারও স্পষ্ট করে চিনতে পারল না।

“আমি তো কোনোদিন এমন কারও সঙ্গে ছবি তুলিনি… তাহলে কে?”

সেই রাতে অর্ণব তার পুরনো অ্যালবামগুলো বের করল। প্রতিটি পাতায় চোখ বোলাতে লাগল। হঠাৎ, একটা পাতায় গিয়ে তার দৃষ্টি আটকে গেল।

ছবিটা ছিল সেখানে—ঠিক সেই ছবি, তবে এইবার ছেলেটার মুখ পুরোপুরি ঝাপসা। যেন কেউ ইচ্ছে করে মুছে দিয়েছে।

আর ছবির নিচে পেন দিয়ে লেখা ছিল কাঁপা হরফে—
“অর্ণব ও সামিউল। চিরদিনের বন্ধু।”

সামিউল?
এই নামটা যেন তার ভেতরে ধাক্কা দিল। কোথা থেকে যেন খুব পুরোনো এক স্মৃতির দরজা একটু ফাঁক হয়ে গেল।

সেই স্মৃতিতে ছিল কুয়াশা ঢাকা এক স্কুলবাড়ি, আর এক বিকেল—যেখানে অর্ণব আর সামিউল শেষবারের মতো একসঙ্গে ছিল। কিছু একটা হয়েছিল… ভয়ঙ্কর কিছু… কিন্তু কী?

ঠিক তখনই অর্ণবের দরজায় আবার সেই শব্দটা—
টক… টক… টক…

কিন্তু এবার দরজার নিচ দিয়ে গলে এল ছোট একটা কাগজ—
“ভুলে গেছিস কেন, বন্ধুর মৃত্যুর দায় তোর?”

অর্ণবের পায়ের নিচের জমি কাঁপতে লাগল। ছায়াগুলো ফিরে এসেছে।


#sifat10