সিরিজ গল্প :১৩ তম দরজা
🕯️ অধ্যায় ৪: “স্কুলবাড়ির পেছনের মাঠ”
পরদিন সকালে অর্ণব বেরিয়ে পড়ল। তার মনের গভীর থেকে একটা কণ্ঠ বলছিল—"যদি জানতে চাস, ফিরে যা শুরুতে।"
সেই শুরু মানেই—পুরোনো স্কুল।
স্কুলে পৌঁছেই সে হাঁটা শুরু করল পেছনের মাঠের দিকে। জায়গাটা এখন ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে, ঘাস এত উঁচু যে কেউ আর এখানে আসে না। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল, এখানে কোনো ছায়া এখনও দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষায়।
হঠাৎ তার চোখে পড়ল, একটা ছোট পাথরের ফলক—মাটির ওপর আধাআধি ডুবে আছে। ধুলোমাখা। সে হাত দিয়ে ঝেড়ে পড়ল। ফলকে খোদাই করা—
“সামিউল হাসান, ২০০০-২০১৩। বন্ধু ভুলে যায়, স্মৃতি নয়।”
মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়ল অর্ণব। তার মাথায় সেই দিনের টুকরো টুকরো ছবি ভেসে উঠতে লাগল। তারা দুজনে লুকোচুরি খেলছিল। সামিউল কোথাও গায়েব হয়ে গিয়েছিল। অনেক খোঁজার পরও ওকে পাওয়া যায়নি।
অর্ণব সেদিন কাউকে বলেনি, সত্যিটা চাপা দিয়েছিল… কারণ শেষবার সামিউলকে সে এই মাঠেই একা ফেলে এসেছিল। রাগ করে, প্রতিযোগিতায় হারিয়ে গিয়ে।
“তুই আমাকে ছেড়ে গেছিলি, আর আমি ফিরিনি…”—পেছন থেকে হঠাৎ ফিসফিস শব্দ।
অর্ণব ঘুরে দাঁড়ায়। পেছনে, লম্বা ছায়া দাঁড়িয়ে। তার ছায়া নয়। সামিউলের।
এখন প্রশ্ন একটাই—অর্ণব কি শুধুই স্মৃতির শিকার? নাকি… কিছু সত্যিই তার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছে?
#sifat10