সিরিজ গল্প : ১৩ তম দরজা
🕯️ অধ্যায় ৭: “যেখানে আলো আর ছায়া মিশে যায়”
আয়নার টুকরোয় ভাঙা ভাঙা আলো ছড়িয়ে পড়েছে করিডরে। অর্ণবের চোখে ধাঁধা লাগে, কিন্তু তার মন হালকা। যেন বছরের পর বছর জমে থাকা বোঝাটা একটু হালকা হলো।
দেখল—করিডরের শেষ মাথায় এখন একটা জানালা। বাইরে সূর্যের আলো পড়ছে, কিন্তু সেটা কেমন গাঢ় কমলা, যেন সন্ধ্যা আর ভোরের মাঝের এক অলীক আলো।
সামিউলের ছায়া এবার খুব শান্ত গলায় বলল,
“তুই দেখেছিস, স্বীকার করেছিস… এখন একটা প্রশ্ন—তুই নিজেকে ক্ষমা করতে পারবি?”
অর্ণব জানত, এটা সবচেয়ে কঠিন কাজ।
সে মাথা নিচু করে বলল, “আমি পারি না। কিন্তু আমি চেষ্টায় থাকব।”
এই উত্তর শুনে সামিউলের মুখে একটুকরো হাসি ফুটল—অস্পষ্ট, কিন্তু উষ্ণ।
তার ছায়া ধীরে ধীরে হালকা হতে লাগল, যেন আলোর ভেতর মিশে যাচ্ছে।
“তাহলে আমি চলি, অর্ণব। এখন তোকে নিজেই পথ চলতে হবে।”
অর্ণব একটা নিঃশ্বাস ফেলল। জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখল—একটা ছোট মাঠ, স্কুলবাড়ির পেছনে, অনেক দূরে… আর সেখানে দুটো ছেলেমানুষের ছায়া দৌড়াচ্ছে।
পুরনো সেই দিনটার মত।
দরজাটা আর কুয়াশায় ডুবে নেই। এখন সেটা খোলা। আলো এসে ঢুকছে।
অর্ণব ফিরে গেল নিজের ঘরে। দেয়ালের ঘড়িটা আবার চলতে শুরু করেছে। এবার আর থেমে নেই।