বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে কলার বিভিন্ন স্থানীয় নাম প্রচলিত আছে। একই প্রকার কলা বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন নামে পরিচিত হতে পারে।
কয়েকটি জনপ্রিয় কলার প্রকার ও তাদের স্থানীয় নাম:
* সাগর কলা: এটি প্রায় সারা বাংলাদেশেই 'সাগর কলা' নামেই পরিচিত। তবে কোথাও কোথাও একে 'অমৃতসাগর'ও বলা হয়।
* সবরি কলা: এই কলাটি অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন -
* সিলেট অঞ্চলে: মালভোগ, অনুপম
* অন্যান্য অঞ্চলে: মার্তমান
* বাংলা কলা (কোবরি): এরও বিভিন্ন স্থানীয় নাম রয়েছে -
* সিলেট অঞ্চলে: সম্ভবত 'শাইল' বা 'থুয়ে' নামে পরিচিত হতে পারে। তবে স্থানীয়ভাবে আরও নাম থাকতে পারে।
* অন্যান্য অঞ্চলে: কাবরি, মানুয়া
* চিনি চম্পা: এই নামটি সাধারণত সারা দেশেই প্রচলিত। তবে স্থানীয়ভাবে অন্য নামও থাকতে পারে।
* কাঁচা কলা: এটিকে সাধারণত 'কাঁচা কলা' বা 'থোড় কলা' নামেই ডাকা হয়। সিলেটেও এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা কম।
* কাঁঠালি কলা: এই নামটি প্রায় সর্বত্র একই রকম।
* আঁশ কলা: এটিও সাধারণত 'আঁশ কলা' নামেই পরিচিত।
* গেঁড়া কলা: এই নামটি অনেক অঞ্চলেই প্রচলিত।
সিলেট অঞ্চলের কিছু বিশেষ কলার প্রকার (যদি থাকে):
সিলেট তার নিজস্ব কিছু বিশেষ ফল ও ফসলের জন্য পরিচিত। যদিও কলার তেমন কোনো স্বতন্ত্র প্রজাতি বিশেষভাবে সিলেটের নামে পরিচিত নয়, তবে এখানকার মাটিতে কিছু বিশেষ জাত ভালো জন্মাতে পারে এবং স্থানীয়ভাবে তাদের কোনো আলাদা নাম থাকতে পারে। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বললে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
কলা চাষের ক্ষেত্রে সিলেটের সম্ভাবনা:
সিলেটের আবহাওয়া এবং মাটি কিছু বিশেষ প্রকারের কলা চাষের জন্য উপযোগী হতে পারে। এখানকার উর্বর মাটি এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত কলা চাষের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন উন্নত জাতের কলা চাষ করে সিলেটের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন।।
tamimahmod123
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?