শিরোনাম: “ছায়াপথের ডাক” (পর্ব -১)
রাত্রি তখন গভীর। শিউলি গ্রামের শেষ প্রান্তে, পুরনো বনবাড়িটার ভেতর হঠাৎ আলো জ্বলে উঠল—যদিও বাড়িটা ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত।
স্থানীয়রা বলে, সেখানে একটা কিশোরী একদিন হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল। তার নাম ছিল রুমা। আর তারপর থেকেই বাড়িটা বন্ধ।
কিন্তু সেই রাতে, তরুণ গবেষক রুদ্র এসে ঢুকল সেই বনবাড়িতে। তার হাতে পুরনো এক চিঠি, যেটাতে লেখা:
“রুমা এখনো বেঁচে আছে, অন্য এক ছায়াপথে। খোঁজ পেলে ফিরে আসবে।”
রুদ্রের চোখ পড়ল, বাড়ির এক কোণে ধুলোমাখা আয়নায় কিছু খোদাই করা—
“চাঁদের আলোয়, মাঝরাতে, ছায়াপথ খুলবে।”
সে ঠিক করল অপেক্ষা করবে। রাত ১২টা ১ মিনিটে হঠাৎ আয়নাটা কেঁপে উঠল, তারপর ধোঁয়ার মতো সরে গিয়ে এক অদ্ভুত আলোয় ভরা করিডোর দেখা গেল। ভিতর থেকে এক মৃদু কণ্ঠ এল—
“রুদ্র, তুমি কি আমায় দেখতে পাবে?”
তার পায়ের নিচে মাটি যেন কাঁপছিল। ভয় আর কৌতূহলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সে এক পা বাড়াল সেই ছায়াপথের দিকে...