32 میں ·ترجمہ کریں۔

শিরোনাম: “ছায়াপথের ডাক” (পর্ব ৩)


রুদ্র ধীরে ধীরে সেই খুলে যাওয়া দরজার ভেতরে পা রাখল। ঘরটা অদ্ভুত—আধা আলো-আধা অন্ধকারে ভাসছে। দেয়ালের চারদিকে ছড়ানো পুরনো পত্রিকা কাটা, যেগুলো সবই রুমার নিখোঁজ হওয়ার খবর নিয়ে।

হঠাৎ সে শুনল পেছন থেকে মিষ্টি এক কণ্ঠস্বর,
“তুমি তো ঠিক সময়েই এসেছো…”
রুদ্র ঘুরে দেখল—একটা কিশোরী, প্রায় ১৪-১৫ বছরের, সাদা ফ্রকে দাঁড়িয়ে। মুখটা যেন মনের ভেতর খোদাই করা ছবির মতো পরিচিত।

“তুমি... রুমা?”
সে মাথা নেড়ে বলল, “হ্যাঁ, কিন্তু আমি এখন শুধু রুমা নই। আমি এই সময়ের রক্ষী।”

রুদ্র কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারপাশ কেঁপে উঠল। দেয়ালের কাটা ছবিগুলোতে আগুন ধরে গেল, আর ছাদের ওপর ভেসে উঠল ছায়ামূর্তি—বড়, ভয়ঙ্কর, চোখে আগুনের মতো আলো।

রুমা চিৎকার করে বলল,
“ও ফিরে এসেছে! সময়ের ছায়া। তুমি যদি ফিরে যেতে চাও, ওকে আটকাতে হবে—আর না হলে আমায় এখানেই থেকে যেতে হবে চিরকাল।”

রুদ্র বুঝল, সে শুধু একটা মেয়ে নয়, সময়ের একটা বিকৃত সত্য উদ্ধার করতে এসেছে।

সে পা বাড়াল ছায়ার দিকে।
“তাহলে চল, সত্যকে আলোর সামনে আনি।”