#35
ভুতের গল্প আমার ছোট্টবেলা থেকেই খুব পছন্দের কারণ ভুতের ভয় জিনিসটার প্রতি আমার একটা বরাবরের আকর্ষণ আছে | এখন আর যদিও পাই না কিন্তু ছোটবেলায় পেতাম | আর ভয় পেতাম বলেই ভুতের গল্প আরো বেশি করে ভালো লাগত | কত যে ভুতের গল্প, উপন্যাস পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই | তার উপরে সোনায় সোহাগার মত পেলাম 'সান্ডে সাসপেন্স' কে | মীরের গল্পপাঠ তো এককথায় ফাটাফাটি, তাঁর উপরে সাউন্ড এফেক্টসগুলো এত চমৎকার যে দিনের বেলায় হেডফোনে শুনলেও গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যেত! ঘর অন্ধকার করে একা শোনবার সাহস করে উঠতে পারিনি |
তবে কিনা দশটা প্রিয় গল্পের ফরমাইশ শুনে একটু ভাবনায় পড়ে যেতে হলো, কারণ অনেকদিন ভুতের গল্প না পড়ার দৌলতে অনেক গল্পই বিস্মৃতির অতলে চলে গেছে সেগুলো হাতড়ে হাতড়ে বের করতে হচ্ছে | যে কয়টা আপাতত মনে পড়েছে সেগুলোই দিলাম, পরে আরো মনে পড়লে যোগ করে দেব |
#34
বাসায় কেউ নেই।
বউ বাচ্চা সব বেড়াতে গেছে। আমি চাকরির খাতিতে যেতে পারি নি। বউ রান্না করে রেখে গেছে। আমি ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে খেয়ে নিই। রাত এগারোটা বেজে গেছে। কম্পিউটারে মেইল চেক করে ঘুমাতে গেলাম। আমার ঘুমের কোনো সমস্যা নাই। মুহুর্তের মধ্যে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। হঠাত তীব্র বেলী ফুলের ঘ্রানে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কয়টা বাজে জানি না। তবে আনুমানিক রাত তিনটা হবে হয়তো। মনে হচ্ছে ঘরে কেউ একজন আছে। সে হাঁটছে। তার হাতের কাঁচের চুড়ির শব্দ পাচ্ছি। মেয়েটা হয়তো চুলে বেলী ফুলের মালা পড়েছে। আমি যে লাইট জালিয়ে দেখব ঘটনা কি, সেই সাহস পাচ্ছি না। ভয়ে আমার হাত পা কাপছে।
আমি বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছি।
কিন্তু খুব বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমার মাথার কাছে বসেছে। আমার মাথার উপর থেকে বালিশটা সরিয়ে দিলো। মেয়েটা এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে আমার মাথায় হাত রাখলো। স্পর্শে বুঝলাম মেয়েটা ভালোবাসা নিয়ে মাথায় হাত রেখেছে। আমি গভীর ঘুমের ভাব ধরে মটকা মেরে আছি।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। মনে মনে ভাবছি রাতের স্বপ্নটা বেশ সুন্দর ছিলো। ঘরে কেউ নেই অথচ বেলী ফুলের গন্ধ ঠিকই আছে। বেলী ফুলের গন্ধটা আমার ভীষন প্রিয়। বিছানা থেকে নামার সময় দেখি- আমার বালিশের পাশে দু'টা বেলী ফুলের মালা পড়ে আছে।
#28
---
গল্প ১: শেষ ট্রেন
মফস্বলের ছোট্ট রেলস্টেশন। রাত তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। স্টেশনে একা বসে আছে বৃদ্ধ গোপালচন্দ্র। চোখে অদ্ভুত শূন্যতা। শেষ ট্রেন আসবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। তিনি জানেন—এই ট্রেন ধরলে ছেলেদের শহরের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব, না ধরলে থেকে যাওয়া চিরকালের মতো এই গ্রামে।
স্মৃতির ভেতর ভেসে উঠছে স্ত্রীর মুখ, যিনি গতবছর চলে গেছেন। ছেলে-মেয়েরা শহরে, তাদের ডাক আছে—“বাবা, চলে এসো, একা আর কতদিন?” কিন্তু গোপালের বুক টানে এই গ্রাম, এই পুকুর, এই ক্ষেত।
ট্রেনের সিটি বাজল। গোপাল দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ভিজে উঠল—ছোটবেলার খেলাধুলা, স্ত্রীর সঙ্গে নদীর পাড়ে হাঁটা, সব যেন বিদায় নিচ্ছে।
অবশেষে ট্রেন এল। দরজা খোলা। তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে উঠে গেলেন ভেতরে। জানালা দিয়ে শেষবার তাকালেন গ্রামের দিকে। মনে হল—তিনি একসঙ্গে বিদায় জানালেন অতীতকে, আর স্বাগত জানালেন নতুন জীবনের শুরু।
---
গল্প ২: হারানো দিনলিপি
মিতার বিয়ের পর নতুন বাসায় উঠল। পুরোনো আলমারি খুলতে গিয়ে এক কোণে পেল ধুলোমাখা এক খাতা। কৌতূহল বশত খুলল। অবাক হয়ে দেখল—এটা তার নিজের কলেজ জীবনের দিনলিপি! সে কেমন ছিল, কাকে পছন্দ করত, কোন স্বপ্নগুলোকে বুকে লালন করত—সবই লেখা।
পাতা উল্টাতে উল্টাতে চোখে জল এল। কারণ সেখানে লিখা—“আমি একদিন ভালো লেখক হবো।” অথচ চাকরি-বিয়ে-গৃহস্থালির ভিড়ে সে স্বপ্ন যেন চাপা পড়ে গেছে।
দিনলিপি তাকে মনে করিয়ে দিল—সে এখনো লিখতে পারে। সেদিন রাতে খাতাটা বুকে চেপে প্রতিজ্ঞা করল—আবার লিখবে। হয়তো পেশাদার লেখক হবে না, তবু তার ভেতরের স্বপ্নটা আবার বাঁচবে।
---
গল্প ৩: ভিখারির গান
ঢাকার ব্যস্ত মোড়ে বসে আছে এক ভিখারি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হাতে ভাঙা একটুখানি একতারা। মানুষ তাকে কয়েন দেয় না, তবু সে গান ছাড়ে না।
এক তরুণ দাঁড়িয়ে শোনে। সুরে যেন কষ্ট আর আশার মিশ্রণ। তরুণটি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে—“আপনি ভিক্ষা করেন কেন? এত সুন্দর গান গাইতে পারেন!”
ভিখারি হেসে বলে—“গান আমার জীবন, ভিক্ষা আমার বাঁচা। দুটো মিলে আমি টিকে আছি।”
তরুণটি সেদিন তার ভিডিও করে অনলাইনে দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে সেই ভিখারি হয় ভাইরাল। গানের কদর মেলে, আর ভিক্ষার বদলে আবার গানই হয়ে ওঠে তার রুজি।
---
গল্প ৪: ছোট্ট উপহার
এক ছোট্ট মেয়ে, নাম টুনি। খুব গরিব ঘরে জন্ম। স্কুলে সবাই বড় ব্যাগ, রঙিন খাতা নিয়ে আসে। টুনির কাছে নেই কিছুই।
একদিন শিক্ষক তাকে ডেকে দিলেন। হাতে দিলেন একটি নতুন খাতা আর কলম। টুনির চোখ ঝলমল করে উঠল। সে যেন দুনিয়ার সবচেয়ে দামি উপহার পেল।
সেই খাতাতেই সে প্রথম অক্ষর লিখল, প্রথম আঁকিবুকি করল। ছোট্ট সেই উপহার তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হয়ে গেল।
---
গল্প ৫: নীলচোখ কুকুর
বৃষ্টির রাতে রাস্তার পাশে কাঁদছিল এক কুকুরছানা। তার চোখ ছিল আশ্চর্য নীল। রিমা তাকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে এল।
পরিবার প্রথমে মানতে চাইছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই কুকুরটিকে ভালোবেসে ফেলল।
কয়েক বছর পর কুকুরটা রিমাকে একবার জীবন বাঁচাল—রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছিল, সে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে জাগিয়ে দেয়।
রিমা বুঝল—এক বৃষ্টির রাতে যাকে সে আশ্রয় দিয়েছিল, সে-ই হয়ে উঠেছে তার জীবনের রক্ষাকর্তা।
---
👉 এগুলো প্রথম ৫টি গল্প। চাইলে আমি এভাবে বাকিগুলো লিখে দিতে পারি, মোট ২০টা পূর্ণ হবে।
আপনি কি চান আমি এখনই বাকি ১৫টা গল্প লিখে দিই, নাকি কয়েক ভাগে দেব যাতে পড়তে সহজ হয়?
#26
মি: হং হেসে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, " লিউ, ভয় পাবার কোন কারন নেই, আমি তোমাকে কোন বিষ দেইনি। যেটা দিয়েছিলাম সেটা ছিল একপ্রকার ভিটামিন। যা তোমার শ্বাশুড়ীর স্বাস্থ্য ভাল হতে সাহায্য করেছে।
একমাত্র বিষ ছিল তোমার মনে এবং তার প্রতি তোমার আচরণে, যেটা তুমি পুরোপুরি ধুয়ে ফেলেছ তাকে ভালবেসে।"
মনে রাখবেন," যে যাকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা ভালবাসাই পাবে। আপনি যেমন ব্যাবহার করবেন, তার থেকে ভালো ব্যাবহার আপনি আশা করতে পারেন কি?? ভালো ব্যাবহারই মানুষকে সুন্দর ও সুখী পথের নির্দেশনা দেয়"
১০ টা তো হয়েই গেল।আরেকটা না হয় ফাও দিলাম।এটা কিছুটা জোক্স টাইপের।
#16
তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না।
পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।
অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল।
একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।
Salamsheikh00001111
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
MD Mosarof
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Mass moon Islam
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
MD Shovo
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?