রায়হান ছিল গ্রামের একমাত্র ইলেকট্রিশিয়ান। ছোটবেলা থেকেই বিদ্যুৎ নিয়ে তার ছিল অদ্ভুত কৌতূহল। সবাই যখন সন্ধ্যার পর কেরোসিনের চিমনি জ্বালিয়ে বসত, রায়হান তখন পুরনো ব্যাটারি আর তার নিয়ে পরীক্ষা করত।
একদিন সে শহর থেকে ফিরে এল একটা ৪০০ ওয়াটের ফ্লাডলাইট নিয়ে। সবাই হা করে তাকিয়ে দেখল – এত বড় বাতি গ্রামের কেউ কখনও দেখেনি। সবাই বলল, “এটা চালাতে গেলে তো গোটা গ্রামের বিদ্যুৎ চলে যাবে!” কিন্তু রায়হান বলল, “আলো কখনো ক্ষতি করে না, আলো মানুষকে পথ দেখায়।”
পরের দিন সন্ধ্যায়, রায়হান ফ্লাডলাইটটা চালু করল। সারা গ্রাম ঝলমল করে উঠল। যেসব জায়গা এতদিন অন্ধকারে ডুবে ছিল, সেগুলো হঠাৎই উজ্জ্বল হয়ে উঠল। মসজিদের পথ, পুকুরপাড়, স্কুলের সামনের মাঠ—সব কিছু যেন নতুন করে জন্ম নিল।
কিন্তু আলো যেমন সৌন্দর্য আনে, তেমনি কিছু লোকের গোপন অন্ধকারও প্রকাশ করে দেয়। গ্রামের মাতব্বর করিম চাচা বিরক্ত হলেন—তার গোপন টিনের ঘরটা, যেখানে সে মদের ব্যবসা করত, সেটাও এখন স্পষ্ট দেখা যায়!
তিনি বললেন, “এই আলো বন্ধ কর! গ্রামের শান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
রায়হান মাথা নত করল না। সে বলল, “যে আলো সত্যি দেখায়, সেটাই সবচেয়ে শক্তিশালী। ৪০০ ওয়াট না থাকলে আমরা অনেক কিছুই দেখতাম না।”
শেষমেশ গ্রামের মানুষ রায়হানের পক্ষে দাঁড়াল। করিম চাচা ধরা পড়ল, আর গ্রামের এক নতুন যুগ শুরু হল—আলোর যুগ।
---
Ridoy miah
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?