অতিথি – পর্ব ১
রাত প্রায় দুইটা। শহরের কোলাহল পেরিয়ে দূরের গ্রামে আসার একমাত্র কারণ ছিল মানসিক প্রশান্তি। অনিরুদ্ধ, একজন লেখক, এসেছেন পুরনো এক দোতলা বাড়িতে—যেটা তার দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তি।
বাড়িটি বেশ পুরনো, কিন্তু তবুও পরিষ্কার। ছাদের কাঠের বিমে বাদুড় ঝুলে থাকে, আর দরজার কড়াচাপাটি এমনভাবে শব্দ করে যেন কেউ আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকছে।
প্রথম রাতেই কিছু অস্বাভাবিক বিষয় চোখে পড়ে। দেওয়ালে ঝোলানো ঘড়িটা বারবার থেমে যাচ্ছিল—ঠিক রাত ২:১৩ মিনিটে। বাতাসে একটা অদ্ভুত গন্ধ, যেন কিছু পচে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে অদ্ভুত—রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে, কার যেন পায়ের শব্দ, ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছে।
অনিরুদ্ধ প্রথমে ভাবলেন, বুঝি কল্পনা। রাত, নির্জনতা, পুরনো বাড়ির ভেতরের আওয়াজ—সব মিলিয়ে মাথায় খেলছে হয়তো। কিন্তু সেই রাতের পরেও একই ঘটনা ঘটতে থাকে।
দ্বিতীয় রাতেই, দরজার নিচ দিয়ে একজোড়া পায়ের ছায়া দেখা গেল। ঘরের ভেতরে কারো ঢোকার কোনো উপায় ছিল না—সব দরজা-জানালা বন্ধ।
Ridoy miah
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?