অতিথি: ফিরে আসা
পর্ব ৪ – ঘর ফেরত
অনিরুদ্ধ আর কিছু বোঝার আগেই চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে গেল। তিনি যেন এক অদৃশ্য ঘরে আটকা পড়েছেন—ঘরটা একসাথে তার শৈশব, অতীত আর সেই পুরনো দোতলা বাড়ির ছায়া নিয়ে গঠিত।
চারদিকে দেয়ালজুড়ে শুধু একটি কণ্ঠস্বর বারবার ধ্বনিত হচ্ছে—
“ঘর ফেরাও... ঘর ফেরাও... ঘর ফেরাও...”
অনিরুদ্ধ চিৎকার করে উঠলেন,
— “তুমি কী চাও? আমি তো তোমার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছিলাম!”
আবছা আলোয় সুচিত্রার সেই ছায়ামূর্তি ভেসে উঠল—শরীর জ্বলছে আগুনের মতো, কিন্তু মুখে দুঃখ। সে বলল,
“তুমি ঘর বিক্রি করেছ। ওটা শুধু ইট-পাথর ছিল না। ওটাই ছিল আমার অস্তিত্ব, আমার শেষ আশ্রয়। এখন আমি আর কোথাও নেই। তাই তোমার ভেতরেই ঢুকতে হয়েছে…”
অনিরুদ্ধ হঠাৎ বুঝতে পারলেন—এই যন্ত্রণার একমাত্র মুক্তি হলো, যদি ঘরটা আবার তাকে ফেরত দেওয়া যায়।
পরদিন সকাল।
তিন মাস পর, অনিরুদ্ধ ফেরত গেল সেই পুরনো গ্রামে। নির্মাণ কোম্পানিকে বাতিল করল। বাড়িটা আবার নিজের নামে তুলে নিল। ঘরের প্রতিটা জিনিস আবার আগের জায়গায় সাজাল। সুচিত্রার ছবি, প্রদীপ, দরজার পুরনো ঘড়ি—সব।
সেই রাতে ঠিক ২:১৩-তে, বাতাস থেমে গেল। কিন্তু এবার দরজার নিচে কোনো ছায়া পড়েনি। শুধু এক শান্ত কণ্ঠস্বর বাতাসে ভেসে এল—
“ধন্যবাদ… আমি এখন ঘরে…”
ঘড়ির কাঁটা ২:১৪ বাজাল।
#sifat10
Ridoy miah
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?