অন্তঃস্থ
পর্ব ৪ – শেষ গল্প
নির্মল ছায়াটির কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার পর, সে বুঝল—এই ঘরের অতীত অনেক গোপন রহস্য ঘিরে আছে। সে নিজের ল্যাপটপ খুলে, ঘরটির পুরনো নথিপত্র খুঁজতে শুরু করল।
ঘরের আগের বাসিন্দাদের নাম, সময়কাল, আর অজানা ঘটনা সে দেখতে লাগল। খোঁজ করতে করতে সে জানতে পারল, ঘর ১৩৪বি বহু বছর আগে এক তরুণীর ছিল নাম নীলা। নীলা ছিল খুবই সংবেদনশীল, একাকী, আর যন্ত্রণা ভোগা। একসময় সে হারিয়ে যায়; পুলিশ রিপোর্টে লেখা হয়, "ঘরেই নিখোঁজ।"
নির্মল বুঝতে পারল, ছায়াটি আসলে নীলার আত্মা। আর সে ঘর ছাড়তে চায়, কিন্তু মুক্তি পেতে তার গল্প শেষ করতে হবে।
নির্মল রাতে আয়নার সামনে বসে নীলার গল্প লিখতে শুরু করল। সেদিন রাত জুড়ে তার কথা টুকিটাকি লিপিবদ্ধ করল। শেষ হল যখন—নীলা বলল,
“এবার আমি যেতে পারি। ধন্যবাদ, তোমার সাহসের জন্য।”
পরের দিন, আয়না আর নড়ল না, ঘড়ির কাঁটা চলল।
নির্মল বুঝল, ভয় সবসময় বাইরের নয়, মাঝে মাঝে নিজের ভেতর থেকেও আসে।
#sifat10
Ridoy miah
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?