গল্প: শূন্য থেকে অসীম
পর্ব ৩: প্রথম প্রতিবন্ধকতা
রাহুলের শিখতে আগ্রহ এবং স্বপ্নের পেছনে দৌড় এখনো থেমে না। লাইব্রেরিতে কাটানো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে অনেক নতুন নতুন ধারণা পেল, কোডিং, ডিজাইন, আর প্রযুক্তির জগৎ তার কাছে একটু একটু করে খুলে যেতে শুরু করল।
কিন্তু জীবনের পথে সব সময় সোজা রাস্তা থাকে না। তার বাবা-মায়ের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, বাড়ির দায়িত্বও তার কাঁধে বেশি পড়ে আসছিল। কখনো কখনো, স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির কাজ ও ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা করতে হতো। অনেক রাত জেগে বই পড়তে গিয়ে ক্লান্তির সীমা ছাড়িয়ে যেত।
সাথেই শহরের বড় একটি প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ এল। রাহুলকে অনেক উৎসাহ দেয়া হলো, কিন্তু খরচের কারণেই প্রথমে সে ভেবে থাকল অংশগ্রহণ করবে না। তার জন্য অর্থের কোনো সুযোগ ছিল না।
এক সন্ধ্যায় সে বাবার কাছে গিয়ে বলল, “বাবা, আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাই। এটা আমার জন্য খুব বড় সুযোগ।”
বাবা ধীরে ধীরে বললেন, “তুমি যা চাও, চেষ্টা করো। আমরা তোমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।”
তারপর গ্রামের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনের কাছে গিয়ে বাবা অর্থ জোগাড় করলেন। রাহুলের চোখে তখন কৃতজ্ঞতার অশ্রু।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে শিখল হার মানার অর্থ নেই। প্রথমবার সে বড় কোম্পানির প্রকল্পকারীদের সঙ্গে টক্কর দিল, কিছু ভুলও করল, কিন্তু হার মানল না। সে শিখল তার ত্রুটি থেকে আরও শক্ত হয়ে উঠতে।
শূন্য থেকে আজকের রাহুল প্রমাণ করেছিল—যে কেউ শূন্য থেকে শুরু করে অসীমের পথে যেতে পারে, যদি হার না মানে।
#sifat10
mdalamingazi
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?