সকাল ছয়টা থেকে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে শুরু করে মানুষ। দীর্ঘ লাইন ধরে প্যারেড গ্রাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করেন নানা শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ। অনেকেই মাঠে আসেন গায়ে পতাকা জড়িয়ে, মাথায় পতাকা বেঁধে। আয়োজনটিতে মেশিনে গণনা অনুযায়ী মানুষের অংশগ্রহণের সংখ্যা ছিলো ২,৫৪,৬৮১ জন। আয়োজকদের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যে রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেস কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সকল শর্ত সূচারুরূপে পালিত হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক গণনার বাইরেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলো ৩,২৫,০০০ এর অধিক মানুষ। অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ সমবেত হয় প্যারেড গ্রাউন্ড চত্বরে। সকালের আকাশে সূর্য কিরণ ফুটে উঠার আগেই নানা শ্রেণি পেশার মানুষ প্যারেড গ্রাউন্ড অভিমুখে যাত্রা করে। এর ভিতরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস কর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ থেকে সামরিক বাহিনীর একজন সদস্যের নেতৃত্ব ১৫০ জন মানুষের একটি করে টিম সুশৃঙ্খলভাবে প্যারেড গ্রাউন্ড অভিমুখে যাত্রা করে। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এই আয়োজনকে শতভাগ সফল করেছে। বয়সের বাধা উপেক্ষা করে ইতিহাসের অংশ হতে হাজির হয়েছিলেন বহু মুক্তিযোদ্ধা, যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বর্ষীয়ান অনেক মানুষ।