গল্প: সময়ের দরজা
পর্ব ৬: সময়ের যোদ্ধা
রাহিন আবার দরজার ভেতর পা রাখল—এবার সে ভয় নয়, উদ্দেশ্য নিয়ে হাঁটছে। তার ভেতরে জেগে উঠেছে এক নতুন বোধ। এই পথ শুধু ফিরে যাওয়ার নয়, সময়কে রক্ষা করার। ঘড়িটা আবার কাঁপতে লাগল, কিন্তু এবার রাহিন বুঝতে পারছে—এই কাঁপন যেন একটা সংকেত। সময়ের প্রবাহ কোথাও ব্যাহত হচ্ছে।
সামনে সে দেখতে পেল এক বিশাল চক্র—সময়ের চাকা, যেটা ধীরে ধীরে থেমে যাচ্ছে। চাকার গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি, কিছু তার নিজের, কিছু অচেনা। ঠিক তার পাশে দাঁড়িয়ে এক কালো আবরণে ঢাকা ব্যক্তি—চোখ নেই, মুখ নেই, শুধু একটা কণ্ঠ:
“তুমি সময়কে বাঁকিয়ে দিয়েছো, রাহিন। এখন তার মূল্য দিতে হবে।”
“তুমি কে?” রাহিন জিজ্ঞেস করল।
“আমি বিকৃতি। যেখানেই কেউ সময় নিয়ে খেলে, আমি সেখানে জন্মাই। তুমি একটিকে বাঁচিয়ে অন্যটি হারিয়েছো, আর সেই ফাঁক দিয়েই আমি প্রবেশ করেছি।”
রাহিন বুঝতে পারল, সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল কেবল শুরু। এখন তাকে লড়তে হবে, সময়ের ভারসাম্য রক্ষা করতে—এই বিকৃতির বিরুদ্ধে।
সে পকেট ঘড়িটা উঁচিয়ে ধরল। ঘড়ির আলো থেকে ছিটকে বেরিয়ে এলো এক সময়-ধনুক।
এবার যুদ্ধ শুরু।
#sifat10