গল্প: ছায়ামূর্তির প্রত্যাবর্তন
পর্ব ৮: প্রমাণ যা শয়তানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়
অরণ্য হাতে পেলেন বিভার ছোট বোনের দেওয়া খাম। খোলার পর ভিতরে ছিল একটি চিরকুট আর একটি পেনড্রাইভ। চিরকুটে বিভার হাতের লেখা, স্পষ্ট ও কাঁপা কণ্ঠে বলা একটিমাত্র বার্তা:
“যদি আমি মারা যাই, এর মানে আমি সত্যি খুন হয়েছি। এই প্রমাণ ওকে থামাতে পারে। সাহস পাবে তো, অরণ্য?”
অরণ্য কাঁপা হাতে কম্পিউটার চালু করলেন। পেনড্রাইভে মাত্র একটি ভিডিও ফাইল।
প্লে করতেই পর্দায় ফুটে উঠল বিভার মুখ—ক্লান্ত, কিন্তু অদ্ভুত এক সাহসে দীপ্ত।
“সুমিত কর... ও শুধুই এক নেতা না। কলেজে টাকা আত্মসাৎ, ব্ল্যাকমেইল, এমনকি খুন—সব জানি আমি। আমি চুপ থাকব না। আমার যদি কিছু হয়, সবাই জানবে ওর মুখোশের পেছনের রূপ।”
ভিডিওর শেষে বিভা একটি খামে পুরে দিচ্ছে কিছু কাগজপত্র—অ্যাকাউন্টের হিসাব, চেকের ফটোকপি, ও সুমিতের স্বাক্ষর।
ঠিক তখনই অরণ্যের জানালায় কাঁচ ভাঙার শব্দ! ছুটে গিয়ে দেখলেন, জানালার ধারে রাখা ফুলদানিটা ভেঙে ছড়িয়ে গেছে মেঝেতে। কারা যেন জানে—তিনি সব জেনে গেছেন।
মুঠোফোন বেজে উঠল। অপরিচিত কণ্ঠস্বর ধীর ও শীতল:
“অরণ্য মুখুজ্জে, আপনি যদি বাঁচতে চান, পেনড্রাইভটা আগুনে ফেলুন। এখনই।”
#sifat10
mdalamingazi
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?