31 w ·übersetzen

অরণ্যের জাদু

দূর আকাশের নীচে, যেখানে সোনালী আলো ধীরে ধীরে পাহাড়ের পিঠে নেমে আসত, সেখানে অবস্থিত ছিল একটি অজানা অরণ্য — যার গোপন পথ কেউ কখনো খুঁজে পায়নি। সেই অরণ্যের মাঝখানে ছিল একটি প্রাচীন বীজ, যা জাদুর অনন্ত শক্তি ধারণ করত। বীজটি যে কেউ পেলে পৃথিবীর নিয়ম বদলে দিতে পারত।

সেদিন তরুণী মায়া, যিনি একটি ছোট গ্রামে থাকতেন, দুর্ঘটনাক্রমে সেই অরণ্যে প্রবেশ করলেন। তাঁর কৌতূহল আর সাহস তাকে অরণ্যের গভীরে টেনে নিয়ে গেল। পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আগে, মায়া একটি ঝলমলে আলোয় ঘেরা বীজ দেখতে পেলেন, যেটি যেন অন্তহীন শক্তির উৎস।

হঠাৎ বীজটি তার হাতের স্পর্শে জ্বলে উঠল, আর মায়ার শরীরে অদ্ভুত জাদু প্রবাহিত হতে লাগল। তখন থেকে তার চারপাশের জগতটা বদলে যেতে শুরু করল — গাছপালা কথা বলতে লাগল, পাখিরা মানুষের মতো গান গাইতে লাগল। মায়া বুঝতে পারল, এই বীজ তার মধ্যে এক নতুন ক্ষমতা দিয়েছে, যা দিয়ে সে প্রকৃতির শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

কিন্তু এই ক্ষমতার সাথে একটি কঠিন দায়িত্বও এসেছিল। অরণ্যের গভীরে লুকানো একটি প্রাচীন অশুভ শক্তি ছিল, যা এই বীজের শক্তি চুরি করতে চাইছিল। মায়ার সামনে ছিল দুটি পথ — অথবা সে ক্ষমতা দিয়ে অরণ্যকে রক্ষা করবে, অথবা সে ক্ষমতার লোভে হারিয়ে যাবে।

মায়া নিজের ভিতর থেকে সাহস জোগালো, আর অরণ্যের বিভিন্ন রহস্যময় জীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলল। একসময় সে শিখল কিভাবে বীজের শক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়।

অবশেষে, যখন অশুভ শক্তি তার আক্রমণ করল, মায়া নিজের সব শক্তি নিয়ে লড়াই করল। প্রকৃতির সমস্ত প্রাণীরা তার পাশে দাঁড়ালো, আর একত্রে তারা সেই অন্ধকার শক্তিকে পরাজিত করল।

অরণ্যের জাদু আবার শান্ত হল, আর মায়া হয়ে গেল সেই গ্রামে নতুন এক কিংবদন্তি — যিনি প্রকৃতি আর জাদুর মাঝে সেতুবন্ধন স্থাপন করেছিলেন।

#sifat10