ক্যান্টিনে ফোন হাতে বসে আছি হঠাৎই পিছে থেকে কেউ বলে উঠল, প্রিয়তমেষু অজান্তা, হতে চাই তোমার নীলরঙা আকাশের সাদা মেঘ, হতে চাই অনন্তকাল মেঘভেজা নীলিমা।
পিছে ফিরে তাকাতেই দেখি নীলাদ্রি। দেখা মাত্রই লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নিল। বৃষ্টি প্রায় থেমে গেছে চায়ের দাম মিটিয়ে ওরা চলে গেল।
আর কোনো কথা হলো না।
আমি সাজিদ। নীলাদ্রি আমার ১ বছরের জুনিয়র। ওর সাথে কখনো কথা হয়নি।
ওকে চিনি ভার্সিটির এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে। আমরা দুজনে দুই গ্রুপের প্রতিযোগী ছিলাম।
ক্লাস শেষে ভার্সিটি ক্যাম্পাসে বসে ফোনের নোট প্যাডে লিখছিলাম এমন সময় রিনরিনে কণ্ঠ শুনতে পেলাম। কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচেই ঠিক আমার উল্টো দিকে নীলাদ্রি তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করছে ।
একবুক সাহস সঞ্চার করে তার সামনে গিয়ে বললাম, 'তোমার সাথে একটু কথা ছিল।'
- জি বলুন।
- তোমাকে যেদিন প্রথম দেখি কবিতা আবৃতির সময় ওইদিনই তোমার চোখের মায়া আর আবৃত্তির প্রেমে পড়ি কিন্তু সামনে এই বিষয়ে কথা বলার সাহস হয়নি।
- এখন এতো সাহস কই পেলেন ?
- ক্যান্টিনে দেখার পর ওই চোখের মায়া আর উপেক্ষা করতে পারিনি তাই খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তোমার জীবনে কেউ নেই। তাই মনে জমা থাকা কথা গুলো বলে দরকার তাই।
- ক্লাসের সময় হয়ে গেছে এখন যাও পরে বলব। (অস্বস্তি অনুভব করায় বলতে চাইলাম না।)
- নাহ, এখনি বলবেন? না হলে আবার কি ভেবে সামনে আসা বাদ দিবেন!
- আচ্ছা, কেউ যদি ফাল্গুনের এই শুভ্রতায় তোমার কোমলমতি কনিষ্ঠ আঙুল ধরে হাঁটতে চায়? অনুমতি কি মিলবে তার?
- কিছু কিছু চাওয়াগুলোর স্বভাবই হলো শরতের ওই সাদা মেঘের ভেলার ন্যায়, যা কখনো ঝুম বৃষ্টি হয়ে ঝরে না।
- শরতের সাদা মেঘের ভেলাই আবার হেমন্তের শেষ প্রান্তরে কুয়াশা হয়ে লুটিয়ে পড়ে ঘাসের বুকে।
- অতঃপর দুজনে পারি জমাব অচেনা কোনো এক দিগন্তে, যেখানে ইচ্ছে হলেই মেঘের অণু হয়ে ঝরে পরা যাবে।
পরিশেষে শুরু হলো তাদের এক নতুন অধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, নীলাদ্রির পছন্দ ছিল সাজিদের করা ছেলে মানুষী। এলোমেলো চুলে তার দুরন্তপনা, সবার সাথে মেশার এক অসম্ভব ক্ষমতা। মেয়েদের সামনে পড়লেই তার মধ্যে যে মিশুক ভাব ফুটে ওঠে তা ছিল নীলাদ্রির ভালোলাগার উৎস।
Md Ashaduzzaman
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
Abu Hasan Bappi
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?