গল্প: অরন্যের গোপন কোষাগার
ঘন অরণ্যের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান। তার হাতে দাদুর রেখে যাওয়া পুরনো একটা ডায়েরি আর মানচিত্র। ডায়েরিতে লেখা ছিল—“কালো পাথরের নিচে ঘুমিয়ে আছে এক বিস্মৃত ইতিহাস, যে খোঁজে পাবে সে শুধু ধন নয়, নিজের শেকড়ও খুঁজে পাবে।”
দুই দিন ধরে হাঁটার পর সে এসে পৌঁছেছে সেই কালো পাথরের সামনে। পাথরটা অন্য দশটা পাথরের চেয়ে আলাদা—চকচকে, মসৃণ, আর গায়ে অদ্ভুত প্রতীক আঁকা। প্রতীকগুলো কোনো প্রাচীন ভাষায়, যেটা সে চিনতে পারছে না, কিন্তু মনে হচ্ছে সেগুলোর মাঝে একটা প্যাটার্ন আছে।
আরিয়ান তার খুঁটিনাটি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রতীকের মানে বের করার চেষ্টা করে। এক সময় সে বুঝতে পারে—প্রতীকগুলো আসলে একটা ধাঁধা। ধাঁধার সমাধান করতেই পাথরের নিচের রহস্য উন্মোচিত হবে।
ঘণ্টা দুয়েক পর, সে ধাঁধার সমাধান করতে পারে। পাথরের এক পাশে চাপ দিতেই মাটি কাঁপে, আর পাথরটা ধীরে ধীরে সরে গিয়ে নিচে নামার সিঁড়ি খুলে যায়। আরিয়ান সাহস করে নিচে নামতে শুরু করে।
নিচে নেমে সে দেখে এক বিশাল কক্ষে দাঁড়িয়ে আছে, চারপাশে প্রাচীন দেওয়ালচিত্র, আর মাঝখানে এক সোনালী বালুকাভর্তি কাঁসার পাত্র। পাত্রের নিচে লেখা—“এটাই শেষ নয়, এটা তো শুরু মাত্র।”
হঠাৎ পেছনে শব্দ। সে ঘুরে দেখে—এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে, চোখে গভীর চাহনি। তিনি বলেন, “তুই পেরেছিস, আরিয়ান। এই কোষাগার তোদের পূর্বপুরুষদের, যারা এক সময় এই অরণ্য রক্ষা করত। এখন সেই দায়িত্ব তোর।”
আরিয়ান চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। ধন তো সে পেয়েই গেছে, কিন্তু আজ সে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছে।
#sifat10
hanif ahmed Romeo
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?
mdalamingazi
Verwijder reactie
Weet je zeker dat je deze reactie wil verwijderen?