গল্পের নাম: "নীল গভীরের ডাক"
আরিয়ান একজন সাগরবিজ্ঞানী, কিন্তু তার আসল প্যাশন—সাগরের রহস্য খোঁজা। বহুদিন ধরে সে এক গল্প শুনে এসেছে—"অতলান" নামের এক ডুবে যাওয়া রাজ্য, যা নাকি বঙ্গোপসাগরের গভীরে হারিয়ে গেছে। কেউ বিশ্বাস করে না, কিন্তু আরিয়ান জানে, কিছু একটা আছে।
একদিন সমুদ্রের তলায় এক অদ্ভুত সংকেত পায় তার সাবমেরিন ড্রোন। সেখানেই শুরু হয় অভিযান। সঙ্গে নেয় তার ঘনিষ্ঠ দুই সঙ্গী—মীনা ও সাগর।
তারা একটি বিশেষ সাবমেরিনে চড়ে গভীরে নামতে থাকে। তলানির কাছাকাছি গিয়ে হঠাৎ সব যন্ত্রপাতি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। চারদিক ঘিরে ফেলে ঘন নীল অন্ধকার। হঠাৎ এক আলো—এক কাঁচের মত শহর, জলতলের নিচে ভাসছে যেন।
তারা ঢোকে সেই শহরের ভেতরে। আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে এখনো বাতি জ্বলে, রাস্তা আছে, আর দেয়ালে আঁকা ছবি বলে এক ইতিহাস—"অতলান একসময় জ্ঞান আর শান্তির কেন্দ্র ছিল, কিন্তু লোভ সব ডুবিয়ে দিয়েছে।"
একটা ঘরে তারা খুঁজে পায় একটা জলের ক্রিস্টাল, যেটা স্পর্শ করতেই আরিয়ানের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দৃশ্য—লাখো মানুষ, হিমশীতল ঢেউ, আর এক রানী, যিনি বলছেন,
“আমাদের সত্য নিয়ে যা, কিন্তু আমাদের অহংকার নয়।”
তিনজন ভয় না পেয়ে সেই ক্রিস্টাল সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসে উপরে। যেই মুহূর্তে তারা সমুদ্রপৃষ্ঠে উঠে আসে, সাবমেরিন আবার সচল হয়। কিন্তু আরিয়ান পেছনে তাকিয়ে দেখে, সেই শহর এক ঝলকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
পরদিন সংবাদে ছাপা হয়—আরিয়ান আবিষ্কার করেছেন এক অজানা খনিজ, যা জলকে বিশুদ্ধ করতে পারে। কিন্তু সে কাউকে বলে না—আসলে সেই উপহার এসেছে অতলান থেকে।
#sifat10