"ঘড়ির কাঁটা থেমে ছিল"
শহরের এক পুরনো বইয়ের দোকানে একদিন ঢুকল নীরব নামের এক ছেলেটি। দোকানের এক কোণে ছিল একটা ধুলোমাখা পুরনো ঘড়ি—একদম দাঁড়িয়ে আছে ১১টা ১১ মিনিটে। দোকানদার বলল, "এই ঘড়ির একটা রহস্য আছে... যে একবার ছুঁয়েছে, তার জীবন বদলে গেছে।"
নীরব হেসে বলল, “রহস্য তো বইয়ে ভাল লাগে, বাস্তবে না।”
তবুও কৌতূহলবশে সে ঘড়িটা ছুঁয়ে ফেলল। সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ কেমন ঝাপসা হয়ে গেল। হঠাৎ সে দেখল, সে এক অজানা শহরে—সব মানুষ যেন তাকে চিনে, নাম ধরে ডাকছে।
আর এক মেয়ে, চোখে কajal, কাঁধে ওড়না, বলল, “তুমি ফিরে এসেছো! আমি তো প্রতিদিন ১১:১১-তে প্রার্থনা করতাম…”
নীরব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। চারদিকে সেই মেয়েটির হাসি, স্মৃতি, গান, সব যেন তার নিজের… অথচ সে তো কিছুই জানে না!
হঠাৎ সবকিছু মিলিয়ে গেল।
সে চোখ মেলে দেখল—সে এখনও দোকানের ভেতর, হাতে সেই ঘড়ি।
দোকানদার বিস্মিত, বলল, “তুমি তো তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলে এক জায়গায়!”
নীরব হেসে বলল,
“না… আমি তিন জন্ম পার করে এলাম...”
ঘড়িটা আজও আছে, কিন্তু ১১টা ১১ মিনিটের পর কেউ আর সাহস করে ছোঁয় না।
#sifat10