তাই সময়ের মূল্য দাও, সঠিক সময়ের সদ্ব্যবহার করো। শিশুটি তার ভুল বুঝতে পারলো। তাই সে নিয়মিত সঠিক সময় নামাজ পড়তো। সে আর কখনো নামাজ পড়া বন্ধ করেনি।
প্রিয় পাঠক উপরে বেশ কিছু ইসলামিক অনুপ্রেরণামূলক গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আশা করি এই অনুপ্রেরণামূলক গল্প গুলো আপনাদের পছন্দ হবে। এ গল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে আশা করি উপকৃত হতে পারবেন।
ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনা
ইসলামিক শিক্ষনীয় ছোট গল্প ও ইসলামিক শিক্ষণীয় ঘটনা আমাদের বাস্তব জীবনকে প্রভাবিত করে। জীবনে ইসলামিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ইসলামিক শিক্ষনে ঘটনা গুলো প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন। নিচে কিছু ইসলামিক শিক্ষনীয় ঘটনায় দেওয়া হলঃ
।। ঈমানদার ব্যক্তি ও গাভি।।
একটি গ্রামে একজন ঈমানদার ব্যক্তি বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত গরিব ছিলেন তার সম্পদ বলতে শুধু একটি গাভী ছিল। গাভীর দুধ বিক্রি করতেন তা থেকে যা অর্থ উপার্জন হত তাই দিয়ে নিজের খাবার কিনে দিন পার করতেন। তিনি আল্লাহর উপর বিশ্বাস করতেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। একদিন ওই ব্যক্তিটির একমাত্র সম্বল গাভিটি অসুস্থ হয়ে যাই। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থেকেও সুস্থ হয় না। ঈমানদার ব্যক্তিটি পশু চিকিৎসককে ডেকে তার গাভিটি দেখান।
আরো পড়ুনঃ ১০+ শিক্ষনীয় গল্প ও শিক্ষামূলক ঘটনা - মোটিভেশনাল শিক্ষামূলক গল্প
পশু চিকিৎসক বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করার পর তিনি ওই ব্যক্তিকে বলেন গাভিটি আর কখনোই সুস্থ হবে না। গাভীদের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে গাভিটি কয়েক দিনের মধ্যেই মারা যাবে। গাভীটি যদি কাঁচা ঘাস খায় তাহলে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ান। যে কয়দিন গাভীটি রিজিক আছে বেঁচে থাকুক। ঈমানদার ব্যক্তিটি অনেক দুঃখ পান তবু ছাড়েন না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন ও আল্লাহর কাছে গাভীটির জন্য নিয়মিত দোয়া করতেন। দিনের বাকি সময় গাভীটিকে কাঁচা ঘাস এনে খাওয়াতেন। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতেই গাভিটি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আগের তুলনায় এখন দ্বিগুণ দুধ দেয়। গ্রামের প্রত্যেকেই অবাক হয়ে যায় কিভাবে এটি সম্ভব হল। তিনি উত্তরে বলেন আমি আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম তিনি অবশ্যই যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
গাভীটি যদি মারাও যেত আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করতাম। গাভীটি এখন বেঁচে আছে তবু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি। কেননা আল্লাহ আমার জন্য যা কিছু করেছেন তাই মঙ্গল। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখলে নিশ্চয় তিনি এ বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন। তাই আল্লাহ আমাকে উপহার হিসেবে গাভিটি ফিরিয়ে দিয়েছেন আগের তুলনায় দুধের পরিমাণও বেশি দিয়েছেন।