অদ্ভুত ভালোবাসা

নীরা আর তার বান্ধবীরা কলেজ থেকে বের হচ্ছে এর মধ্যে নিলয় সিগারেটের ধোয়া উড়াতে উরাতে নীহার সামনে এসে পথ আটকিয়ে দ

পর্ব ১

 

নীরা আর তার বান্ধবীরা কলেজ থেকে বের হচ্ছে এর মধ্যে নিলয় সিগারেটের ধোয়া উড়াতে উরাতে নীহার সামনে এসে পথ আটকিয়ে দাড়ায়

 

নিলয়: নীরা তোমার সাথে আমার একটু কথা আছে বাকিরা যেতে পারো

 

নীরা: আপনার মতো ফালতু লোকের সাথে আমার কেনো কথা বলার মতো সময় নাই

 

নিলয় : হ্যাঁ হ্যাঁ আমার সাথে তো তোমার কথা বলার টাইম ই নাই আর সবার সাথে গা ঢলাঢলি করতে তো তোমার অনেক সময়

 

নীরা : mind your language mr. niloy... আপনি আমার parsonality নিয়ে কথা বলার অধিকার কই পান হ্যা লজ্জা বলতে কিছু নাই না আপনি নিজে কি একবার ভেবে দেখছেন?? বড়লোক বাবার উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে যার না আছে কোনো গুন আছে কোনো parsonality সারাদিন বাইকে ঘোরা আর মেয়েদের টিজ করা ছাড়্ আপনার কেনো কাজ আছে কে আপনি হ্যা আমার ভাই বন্ধু বি এফ??? কেনো কথা বলবো আপনার সাথে??? আমার লাইফ টা মজা বানিয়ে দিছেন আপনি

 

নিলয়: আমি তোমার কাছে আমার carecter certificate নিতে আসিনি বুঝলা ওই ছেলের সাথে যেনো আর কথা বলা না দেখি বলে দিলাম। তা না হলে তোমার কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম

 

নীরা আমি আপনার ঘরের বউ না যে আপনি যা বলবেন আমার শুনতে হবে আর না আমার ওপর আপনার কোনো অধিকার আছে ওকে???? সরেন আমার সামনে থেকে

 

নিলয়:: কাজটা তুমি মোটেই ভালো করলেনা নীর তোমার ওপর যে আমার অধিকার কি সেটা আজ বুঝবে

 

এবার আসিন জেনে নেই এই অদ্ভুত ভালোবাসার হিরো হিরোইনদের পরিচয় এতক্ষন যে মেয়েটি না ছেলেটিকে ঝাড়ি দিলো সে আমাদের নায়িকা নীরা নীহারিকা নীরা কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী বাবা মা এর একমাত্র আদুরে মেয়ে ওর বাবা ব্যাংকের ম্যানেজার আর মা সংসার সামলান সংসার সামলানো কিন্তু চাট্টিখানি কাজ না যে করে সে যানে ?

 

আর যে ছেলেটি মানে আমাদের হিরো সব ঝাড়ি সহ্য করলো হয়তো ক্ষনিকের জন্য তার নাম নিলয় মাহমুদ পড়াশোনা কমপ্লিট তাও কলেজে পরে থাকে বাবার একমাত্র সন্তান মা মারা যাবার পর তার বাবা আরেকটা বিয়ে করে নিলয় এর দেখাশোনার জন্য কিন্তুু অসুভাকাঙ্খীদের কান ভাঙানিতে নিলয় কখনও তাকে মা বলে ডাকে নি কিন্তুু উনার মেয়ে নিলয় এর জান ওরে বলতে নিলয় পাগল মা মরা ছেলের প্রতি কেনো শাসন করতে পারে নি নিলয় এর বাবা যার ফলে নিলয় এখন পুরাপুরি বখে গেছে

 

কলেজ এ নীরা কে প্রথম দেখায় নিলয় এর খুব ভালোলাগে অনেকবার প্রপোজ করে কিন্তুু নীরা ও না বলে দেয় কারন নিলয়কে নীরার কোনোদিক থেকেই ভালো লাগে না আর ভালোবাসা তো দুরে থাক নিলয় নীরাকে তার ক্লোজ বন্ধু আশিক এর সাথে কথা বলতে বারন করে কিন্তুু নীরা নিলয় এক কেনো কথার পাত্তা না নিয়ে ওর সামনেই আশিকের হাত ধরে গল্প করে নিলয় লাস্টবার বারণ করতে আসে কিন্তু নীরা নিলয়কে ওই কথাগুলা শোনায় দেয় পরে আশিকের সাথে বাসায় যাবার জন্য বেরিয়ে যায় রাস্তায় নিলয় গাড়ি নিয়ে আশিকের বাইক এর সামনে দাড়ায় তারপর দুজনকেই জোর করে গারিতে তুলে নেয়

 

নীরার যখন সেন্স ফিরলো তখন নিজেকে সুন্দর একটা ফুল এ ভরা বিছানায় আবিস্কার করে নীরার রুম টা খুব ভালো লাগে ধুরে ঘুরে দেখতে থাকে তখন ওর আশিক এর কথা মনে পরে

 

নিলয় :আমার নীর পাখিটা কি করছে????

 

নীরা : মানে কি এসবের??? আশিক কই???

 

নিলয় : মরে নি এখনও কিন্তুু আমার কথা না শুনলে যে ওর কি হবে তা আমি নিজেও বলতে পারছিনা

 

নীরা :আপনি কিন্তুু মোটেই ভালো করছেন না আমি কিন্তু পুলিশ এর কাছে যাবে

 

নিলয় :;:: আমার নীর পাখিটার এত্ত কষ্ট করতে হবে না উনি আমার এখানেই আছে আশিক কে মারার পর উনি এক্সিডেন্ট কেস বানিয়ে চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিবে

 

নীরা :আপনি কেনো করছেন এটা???? প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন আমায় আমার মতো বাচতে দিন

 

নিলয় :: নীর পাখি আমি তোমায় শুধু এখন পেপার ফরমালিটি তে বিয়ে করবো যাতো তোমার ওপর আমার অধিকার থাকে ছোট্ট একটা সই দিয়ে তুমি বাসায় চলে যাবে

 

নীরা:: : আমি আপনার সব কথা শুনবে প্লিজ এ কাজ টা আমি করতে পারবো না

 

নিলয় ঠিক আছে নীর তুমি বারি যাও

 

নীরা: আশিক???

 

নিলয়:: : ওরে তো আর আমি ছাড়ছি নামরতে হবে ওরেওরে বারন করছিলাম তোমার সাথে কথা বলতে কিন্তুু ও আমার কথা শোনে নাই

 

নীরা :; কি চান আপনি???

 

নিলয় :এই পেপার টাতে জাস্ট একটা সই

 

নীরা: কোথায় সই করতে হবে

 

পর্ব ---২

 

নীরা : কোথায় সই করতে হবে????

 

নিলয়: এইতো আমার নীর পাখি এখানটায়

 

নীরা : আগে আমি আশিককে আমার সামনে চাই

 

নিলয়: তুমি সই টা করে দাও আমি ওকে সশরীরে বাসায় পৌছে দিবো বিশ্বাস রাখো আমার ওপর

 

নীরা : হা হা হা হা ( তাচ্ছিল্লের হাসি দিয়ে) বিশ্বাস আর আপনাকে আজ যে কাজ টা আপনি করলেন তারপর আপনার মুখটা দেখতেও আমি রাজি না i just hate you just hate you

 

নিলয় : এমন টা বলোনা নীর এই নিলয় তার নীর টিকে পাওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে পারে তার জন্য আমার কাউকে খুন কেনো না করতে হয় তুমি শুধু আমার নীরা তুমি শুধু আমার তুমি শুধু আমায় ভালোবাসবে just me আর আমার কথা না শুনলে যে কি করতে পারি তা তুমি ভালোভাবেই জানো

 

নীরা :কি চাইছেন টা কি আপনি বলেন তো??? কিসের জন্য আমার পিছে পড়ে আছেন সত্যিই আমায় ভালোবেসে নাকি আমার এই শরীর টার জন্য???

 

নিলয়: জান কি বলছো তুমি এইসব

 

নীরা :আমি ঠিক বুঝতে পারছি আপনাদের মতো ছেলেদের দেরি করছেন কেনো নিন আপনার ভালোবাসার পূর্নতা করে নিন মিটিয়ে নিন আপনের মনের ইচ্ছা

 

নিলয় নীরার হাত টা পিছে দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে এক হাত দিয়ে মুখটা হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে

 

নিলয় :: আর একটা কথা বললে এখানেই মেরে পুতে ফেলবে তোমায়

 

নীরা নিলয় এর চোখ এর দিকে দিকে তাকিয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় নিলয় এর মধ্যে মনে হচ্ছে কোনে হিংস্র দানব ঢুকে গেছে ও নীরার গালটা এমন করে ধরছে যে নীরার ঠোট কেটে গাল বেয়ে রক্ত বেয়ে পরছে

 

নিলয় তারাতারি করে নীরাকে ছেরে দিয়ে ওকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরলো নীরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে

 

নিলয়: মাইনক্যা মাইনক্যা কই গেলি জলদি আয়

 

মানিক :জি স্যার

 

নিলয় : তারাতারি ওষুধের বাক্স টা নিয়ে আয়

 

নিলয় ওষুধের বক্স টা নিয়ে নীরার কাছে দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো নিলয়ের হাতটা কাপছিলো নীরার ঠোটে ওষুধ লাগাতে লেগেনীরা নিলয়ের কাজ কর্ম দেখে অবাক হয়ে যায় মাত্রই যে ব্যবহার করলো আর এখন কি করছে

 

নিলয়:: জান তুমি এখন এখানে বিশ্রাম করো

 

নীরা: আমি বাসায় যাবো

 

নিলয় : ঠিক আছে এখানে একটা সই দাও তোমায় বাসায় রেখে আসি নাও তারাতারা

 

নীরা : আমি একাই যেতে পারবো আপনার যেতে হবে না

 

নিলয়:তোমার কাছ আমি শুনতে চাইছি আমায় কি করতে হবে???? কর্কশ কন্ঠে

 

নীরা নিলয়ের চিল্লানি শুনে তারাতারি সই করে দেয় আজ নিলয়কে নীরা খুব ভয় পাচ্ছে কারন এতদিন নিলয়ের এই রুপ নীরার কাছে অচেনা ছিলো

 

নিলয় : চলো আর হ্যা কাল থেকে আমার কথা মতো চলবা কিছু করার চেষ্টা করলে আমার থেকে কেউ খারাপ হবে না আর এই সব টাইট ফিটিং জামাকাপড় একদম পড়বা না আর হ্যা ঠিক মতো খাবে বাসা থেকে কোনে কাজ ছাড়া বের হবা না কোনো ছেলের সাথে কথা বলবা না আমার রাগ উঠবে এমন কেনো কাজ করবা না আমার রাগের সামনে যে আসবে সে কিন্তুু শেষ হয়ে যাবে কি মনে থাকবে???

 

নীরা মাথা নারিয়ে হ্যা বললো মেয়েটা অনেক ভয় পেয়েছে আজ নিলয় বুঝতে পারলো যে নীরা ভয় পেয়েছে

 

নিলয়: নীর পাখি একদম ভয় পেয়ো না আমি তো তোমার জন্যই এইসব করছি তুমি যদি সকালে আমায় অধিকারের কথা না বলতে তো আজ এতকিছু হতো না আর একদিকে ভালোই হইছে তোমার ওপর আমার অধিকারটা পারমানেন্টলি হয়ে গেলো খুব জলদি তোমায় আমার কাছে নিয়ে আসবো জান

 

বলে নিলয় নীরাকে হালকা করে জরিয়ে ধরে নীরা কিছুই বলেনা কারন ও ভালোভাবেই বুঝতে পারে নিলয় নামের প্যারা ওর জীবন থেকে সহজে যাবে না ওর এই অদ্ভুত ভালোবাসা নীরার জীবনকে উল্টিয়ে দিবে

 

নিলয় নীরাকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে নিরা বাসায় আসলে ওর মা এর হাজার প্রশ্নে মধ্যে দিয়ে ওর রুম এ ঢুকে বিছানার ওপর টান হয়ে শুয়ে পরে

 

নীরা:কি স্বপ্ন নিয়ে আমি কলেজে গেলাম আর আমার সাথে এসব কি হচ্ছে কোন কুক্ষনে যে ওই কলেজে ভর্তি হতে গেলাম আল্লাহ্ জানে সেই প্রথম দিন থেকে বদমাইশ আমার পিছে পরে আছে ওর জন্য কলেজে কোথাও শান্তিতে বসতে শুধু পারি না একটা ছেলে এত্তটা খারাপ কি করে হতে পারে.... আমার জীবনটা নষ্ট করে দিলো ও কত্ত বরো বেয়াদব ছেলে আমি কি করে আজকের কথাটা বাসায় বলবো ও যদি আমার বাবামা এর ক্ষতি করার চেষ্টা করে??? ওর মতো জানোয়ার কে কোনো বিশ্বাস নাই আমাকেই কিছু একটা করতে হবে যাতে ও আমায় নিজে থেকে ছেড়ে দেয়

 

পরদিন কলেজে সবাই নীরাকে দেখে রীতিমতো তামাশা শুরু করে দেয় কারন নীরা আজ পর্দার মতো ঢিলা সালোয়ার পরে কলেজ গেছে যে মেয়েটার স্টাইল দেখে যে কোনো ছেলে হুমড়ি খেয়ে পরে আজ সেই মেয়ে সবার কাছে হাসির পাত্রী হয়ে গেলো নীরা কান্না করতে থাকে আর নিলয় এসে নীরার সামনে দারালো

 

নিলয়: আমার নীহু টা কাদছে কেনো????

 

নীরা ': এবার আপনার শান্তি হয়েছে তো সবার সামনে আমি জোকার হয়ে গেলাম

 

নিলয়: কে বলেছে তোমায় এই কথা আমায় একবার বলো কার এত্তবড় সাহস আমার নীরু কে কাদায় চিল্লিয়ে

 

ভয়ে আসেপাশের সবাই দৌড়ে চলে যায় নীরা ভালোভাবেই জানে নিলয় রাগলে আর কারো নিস্তার নাই তাই প্রসঙ্গ পাল্টে বললো আমার আপনার সাথে একটা কথা ছিলো

 

নিলয় : বলো না জান আমি তো তোমার কথা শোনার জন্যই আছি বলো


Bablu islam

204 Blog indlæg

Kommentarer