Make a way of better life

"স্মার্টফোন আসক্তি: আমাদের ভবিষ্যতের চোরাবালি"

স্মার্টফোন আসক্তি: আমাদের ভবিষ্যতের চোরাবালি আজকের পৃথিবীতে স্মার্টফোন যেন আমাদের শরীরের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ঘুম থেকে উঠেই প্রথম কাজ ফোন চেক করা, রাতে ঘুমানোর আগে শেষ কাজও সেটাই। কিন্তু এই অভ্যাস কবে যে আসক্তিতে রূপ নিয়েছে, আমরা নিজেরাও জানি না। স্মার্টফোন আসক্তি কী? যখন কেউ অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে এবং সেটি ছাড়া একপ্রকার অস্থিরতায় ভোগে—তখন তা আসক্তির পর্যায়ে পড়ে। এই আসক্তি কেবল সময় নষ্টই করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। কীভাবে এটি আমাদের প্রভাবিত করছে? মনোযোগের অভাব: আমরা সহজেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। এক কাজ করতে করতে নোটিফিকেশন চেক করতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত: রাতে ফোন ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতে পারে না। ফলাফল—অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও কাজের মান হ্রাস। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করতে করতে আমরা অন্যদের জীবন দেখে নিজের জীবনকে ছোট মনে করি। এতে হতাশা ও দুঃখ বাড়ে। সম্পর্কের দুরত্ব: একে অপরের পাশে থেকেও সবাই যখন ফোনে ডুবে থাকে, তখন মানসিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কীভাবে মুক্তি পাবেন? দিনে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন ফোন ব্যবহারের জন্য। শোবার আগে অন্তত ১ ঘণ্টা আগে ফোন রেখে দিন। সময় কাটান প্রকৃতির মাঝে বা প্রিয়জনদের সঙ্গে। প্রয়োজন হলে অ্যাপ ব্যবহার করুন স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য। উপসংহার স্মার্টফোন প্রযুক্তির এক আশীর্বাদ হলেও অতিরিক্ত ব্যবহার এক ভয়ানক অভিশাপে পরিণত হতে পারে। আমাদের উচিৎ সচেতনভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করা, যাতে প্রযুক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং আমরা প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করি।


SM Jahid Hasan

220 Blog mga post

Mga komento