দারুণ! তুমি যদি “আলো ছায়ার রহস্য” গল্পটি নিয়ে পুরো রূপ দিতে চাও, তাহলে নিচে গল্পটি আমি ব্লকের ভিত্তিতে সুন্দরভাবে লিখে দিচ্ছি:
---
আলো ছায়ার রহস্য
একটি কল্পনাভিত্তিক গল্প
পাহাড়ঘেরা এক ছোট্ট গ্রাম — নাম তার ‘নয়নপুর’। এখানে বাস করত এক কৌতূহলী কিশোর, নাম আরিব। বই পড়া আর রহস্য ঘাঁটাঘাঁটি ছিল তার নেশা। গ্রামের পাশেই এক পুরনো মন্দির, যার দরজায় ধুলোপড়া তালা, আর লোকমুখে শোনা যায়—ওটা নাকি অভিশপ্ত।
একদিন আরিব তার দাদুর পুরনো কুড়েঘরে খুঁজতে গিয়ে পায় এক প্রাচীন মানচিত্র। মানচিত্রের কেন্দ্রে আঁকা সেই পুরনো মন্দিরটি! সেখানে লেখা—
“আলো যার সত্য, তার জন্যই উন্মুক্ত ছায়ার পথ”
এই বাক্যটি আরিবকে তাড়িত করে। পরদিন বন্ধু মেহেরকে নিয়ে সে রওনা দেয় মন্দিরের উদ্দেশ্যে।
মন্দিরে পৌঁছে, ধুলোমলিন মেঝেতে তারা খুঁজে পায় এক গোপন সিঁড়ি। নিচে নেমে দেখে এক বিশাল গুহা। গুহার কেন্দ্রে এক দরজা, যার গায়ে আঁকা এক চোখ — আলো ও ছায়ার প্রতীক। দরজার পাশে লেখা—
“মিথ্যা বললেই ছায়া হবে তোমার অন্তিম শত্রু।”
হঠাৎ চারপাশে ঘন ছায়া ঘিরে ধরে তাদের। এক ছায়ামূর্তি জিজ্ঞেস করে, “তোমার উদ্দেশ্য কী?”
মেহের ভয় পেয়ে চুপ করে যায়, কিন্তু আরিব বলে—
“আমি সত্য জানতে চাই, কোনো লোভে আসিনি।”
ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে গলে গিয়ে মিলিয়ে যায়। দরজাটি খুলে যায় এক আলোকোজ্জ্বল কক্ষে। সেখানে সোনা বা হীরের পাহাড় নেই, বরং আছে হাজার বছরের জ্ঞানভাণ্ডার—জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসা, দর্শন, ইতিহাসের পুঁথি।
আরিব ও মেহের ফিরে আসে গ্রামে, কেউ বিশ্বাস না করলেও তারা জানত—আলো সত্য আর সাহসকে পথ দেখায়। তারা গড়ে তোলে একটি পাঠশালা, নাম দেয় “আলোর ঘর”, যেখানে শেখানো হয় সত্য, সাহস ও জ্ঞানের গল্প।
---
তুমি কি চাও, আমি এই গল্পটা সংলাপসহ বা গল্পপাঠের স্টাইলে সাজিয়ে দিই?