সিরিজ শুরু হতে যাচ্ছে আজ থেকে।
এ সিরিজটি শুধু খেলার জন্য নয়, বরং বাংলার ক্রিকেট ধারাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার একটি মহান সুযোগ। বিশেষ করে, ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, যা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক, এবারের টুর্নামেন্টের প্রধান স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছে। এই সিরিজের সাফল্য বাংলাদেশের ক্রিকেটফ্যানদের জন্য আনন্দ এবং গর্বের হতে চলেছে।
ওয়ালটন স্পন্সরশিপ: বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন দিগন্ত
ওয়ালটন বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘ওয়ালটন ইউএই বনাম বাংলাদেশ টি২০ সিরিজ ২০২৫’ দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ২০ ওভার হাতের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের দলে সার্বিকভাবে ভালো খেলার মেজাজ রয়েছে, বিশেষত ইউএই-এর বিরুদ্ধে।
এটি বিশেষ করে না মনে করলে চলবে না যে,
ওয়ালটনের সহযোগিতার বিষয়টি কেবল টি-২০ ক্রিকেট বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পর্যায় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগ (এনসিএল), ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (ডিপিডিএল), এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টেও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা রয়েছে। এর ফলে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তরুণদের মধ্যে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ইউএই: পুরনো পরিচিতি
বাংলাদেশ এবং ইউএই এর মধ্যে ক্রিকেটের ইতিহাসও বেশ সুপ্রাচীন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ইউএই তিনটি টি-২০ ম্যাচের মধ্যে, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সবকটিতেই জয়লাভ করেছে। এই পরিসংখ্যানটি দেশের ক্রিকেটের শক্তিতে আশাবাদী করে তোলে। ইউএই এর বিরুদ্ধে খেলা হলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা স্পষ্ট জানান দেয় যে, তারা সতর্কতার সাথে মাঠে নামবে এবং সিরিজ জয় করার লক্ষ্যে সবকিছু করবে।
শনিবার (১৭ মে, ২০২৫) পাচম টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে। মহামারির পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
বাংলাদেশ: একটি নতুন সংভাবনা
বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারাবৃন্দ এমন এক সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার চেয়ে খেলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে, যখন সারা দেশ ক্রিকেটের উন্নতি এবং তার সঙ্গে তারা নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটবিশ্বের বিভিন্ন দিক থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসা করা হয় এবং এটি শুধু পাকিস্তান বা ভারতের বিরুদ্ধে নয়, ইউএই এর মতো অন্যান্য দলের বিরুদ্ধেও তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়।
ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ফ্যানদের সাথে থাকা প্রচলিত ক্রিকেটীয় চাপে, ইউএই তেল সমৃদ্ধ একটি দেশ হওয়ার কারণে তাদের মানসম্পন্ন ক্রিকেটয়াদের গড়পড়তা শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজের গুরুত্ব বেড়ে যায়।
ম্যাচের আগের কিছু পরিকল্পনা
প্রথম ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে আছেন। কঠোর অনুশীলনের পাশাপাশি, মানসিক প্রস্তুতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দিনটির ‘ম্যাচ জয়’ না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি প্রবলভাবে খোলামেলা থাকবে। বাস্তব কি হবে, সেটা জানা যাবে মাঠেই।