টাইটানিক থেকে বাদ পড়া ইথান হকের কাছে ছিল আশীর্বাদ!

জেমস ক্যামেরনের ব্লকবাস্টার সিনেমা টাইটানিক বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শকের মনে জায়গা

কেন আশীর্বাদ মনে করেন ইথান হক?

ইথান বলেন,আমি মনে করি না, লিওনার্দোর মতো সেই বিপুল জনপ্রিয়তা আমি সামলাতে পারতাম। সে ছিল একেবারে বিটলসের মতো। তার পাগলামি-পর্যায়ের খ্যাতি ছিল, আর সে সেটা দারুণভাবে সামলেছে।”

১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত টাইটানিক ইতিহাস গড়ে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। সিনেমাটি ডিক্যাপ্রিওকে বিশ্ব তারকার আসনে বসালেও, ইথান হক সেই সময় অভিনয় করেছিলেন গ্রেট এক্সপেক্টেশান এবং হেমলেট-এর মতো গুণগত মানসম্পন্ন ছবিতে।

তার ভাষায়, তিনি কখনো তারকাখ্যাতি চাননি, বরং অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।

তারকাখ্যাতি নিয়ে তার মতামত

ইথান হক বলেন, “তারকাখ্যাতি আসলে অপমানজনক। যখন পত্রিকায় তোমার সম্পর্কে ভালো কিছু লেখা হয়, সেটাও একরকম বিব্রতকর।”

তিনি জানান, প্রকৃত খ্যাতির চাপ তিনি অনুভব করেছিলেন উমা থারম্যানের সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর। তখন থেকেই মিডিয়ার অবিরাম দৃষ্টি তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করে।

পুরস্কার নয়, মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ

২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ট্রেইনিং ডে সিনেমার জন্য তিনি অস্কার মনোনীত হলেও জেতেননি। তবে সহ-অভিনেতা ডেনজেল ওয়াশিংটনের একটি পরামর্শ আজও তার মনে গেঁথে আছে:জিতো না তো ভালোই। তুমি এমন হও যে তোমার জন্যই পুরস্কারটা মর্যাদাবান হয়ে ওঠে।”

পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন

১৯৯৮ সালে উমা থারম্যানকে বিয়ে করেন ইথান হক। তাদের সংসারে জন্ম নেয় দুই সন্তান—অভিনেত্রী মায়া হক এবং ছেলে লেভন হক। যদিও ২০০৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।


Hᴇᴀʀᴛ Hᴀᴄᴋᴇʀ

10 בלוג פוסטים

הערות