বাংলাদেশের আবহাওয়া চার ঋতুর বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রতিটি ঋতুর নিজস্ব প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের মতোই খাবারের তালিকাতেও থাকে পরিবর্তন। ঋতুভেদে খাবারের এ বৈচিত্র্য আমাদের জীবনযাত্রাকে শুধু রঙিনই করে না, শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায়। গ্রীষ্মকালে তাপদাহ থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে শসা, তরমুজ, ডাবের পানি, লেবুর শরবতসহ হালকা ও পানিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়। বর্ষাকালে সংক্রমণ বেড়ে যায়, তাই এ সময় ভাজাপোড়া এড়িয়ে ভাত, ডাল, শাক-সবজি ও হালকা মসলা যুক্ত খাবার খাওয়া উত্তম। শরৎকালে দুধ, খিচুড়ি ও মৌসুমি ফল শরীরে শক্তি যোগায়। হেমন্তে আসে নতুন ধানের সুবাস; তাই পিঠা-পায়েস আর খেজুর রসের মিষ্টি স্বাদে ভরে ওঠে ঘর। শীতকালে শরীর গরম রাখতে খিচুড়ি, মাংস, মাছ, খেজুর গুড়, শীতকালীন সবজি আর নানা রকম পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ আছে। বসন্তে ফুলের মতো রঙিন ফলমূল যেমন কমলা, পেঁপে, কলা ও হালকা খাবার খাওয়া ভালো, যা শরীরকে সতেজ রাখে। ঋতুর সঙ্গে মানানসই খাবার শুধু ঐতিহ্যেরই অংশ নয়, বরং সুস্থ ও সুন্দর জীবনেরও অন্যতম চাবিকাঠি।
Md shazedul Karim
81 블로그 게시물