হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ানোর ৩টি অসুস্থতা

হার্ট আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সারা দিনের কাজ, অফিসের চাপ, পারিবারিক

উচ্চ রক্তচাপ: হৃদযন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ

স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০-৮০। এর বেশি হলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়। রক্ত পাম্প করার সময় হার্ট এবং ধমনিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, সুষম খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করলে এই ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

ডায়াবেটিস: চুপচাপ হুমকি

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে ওজন কমে যাওয়া, চোখের সমস্যা, ক্লান্তি—এসব উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। রক্তে অতিরিক্ত শর্করা ধমনীর ভেতরে জমা হয়ে হার্টের পেশিতে চাপ সৃষ্টি করে। সঠিক ডায়েট, নিয়মিত ব্যায়াম, ঔষধ সেবন—এই সব নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানো সম্ভব।

কোলেস্টেরল: হৃদযন্ত্রের ধ্বংসকর্তা

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা বেশি হলে ধমনীর ভেতরে জমা হয়। এটি রক্তপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং হৃদযন্ত্রকে অতিরিক্ত চাপের মুখে ফেলে। নিয়মিত কোলেস্টেরল পরীক্ষা, সুষম খাবার, ব্যায়াম, ও ওজন নিয়ন্ত্রণ—এসব মাধ্যমে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল—এই তিনটি অসুস্থতা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না হয়, তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই জীবনধারার স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন, সুষম খাবার, ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ—এসব জেনে, মানলে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখা সম্ভব।


Viki tain

622 ब्लॉग पदों

टिप्पणियाँ