ইসমাইলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বক্তব্য
সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসমাইল জানিয়েছেন, আয়েশার ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছায় হয়েছে। ইসমাইলের ভাষায়, “আমার পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল না, আয়েশাই চাইছিল তাই ধর্মান্তরিত হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আয়েশার সঙ্গে সম্পর্কের শুরু এক স্বাভাবিক বন্ধন থেকে হয়েছে এবং এটি কোনও প্ররোচনার ফল নয়।
পরিবার ও সন্তানদের সম্পর্ক
ইসমাইল ও তার প্রথম স্ত্রী ফারজানা-এর থেকে দু’টি সন্তান রয়েছে, আওয়েজ ও জায়েদ দরবার। সাক্ষাৎকারে ইসমাইল জানিয়েছেন, “আমাদের সন্তানরা পরিস্থিতি অনুধাবন করেছে, কখনো আমাকে বিচার করেনি। তারা আয়েশার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল এবং তাকে ‘আয়েশা মাম্মি’ বলে ডাকে।” এছাড়া আয়েশা পুরোপুরি সংসারী হয়ে সন্তানদের দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তার জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজগৎ
ইসমাইল জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রী ফারজানার সঙ্গে প্রতারণার কোনও অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বলেন, “একবার ঝগড়ার পর আমি আয়েশাকে ফোন করি, এরপর আমরা একসঙ্গে ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ি। এক ঘণ্টা পর আমি বিয়ের প্রস্তাব দিই, এবং তিনি তা গ্রহণ করেন।” এই ধরনের সত্য ঘটনা ইসমাইলের ব্যক্তিগত জীবনকে অনেকটাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
উপসংহার
ইসমাইল দরবারের এই মন্তব্যগুলো স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবন ও ধর্মান্তর সম্পর্কিত বিতর্কের পেছনে বাস্তবতার দিকও রয়েছে। এটি প্রমাণ করে, পরিবার, সন্তান, প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা সংবেদনশীলতা ও সমঝোতা থাকতে হয়।