গল্প: অপেক্ষা
(শব্দসংখ্যা: প্রায় ৩০০)
রাত দশটা বাজে। শহরের গলিপথে হালকা কুয়াশা। স্টেশনের পাশে পুরনো বেঞ্চে বসে আছে মেয়েটি—নাম তার রিয়া। হাতে ধরা একটা ছোট্ট চিঠি। চোখে একরাশ অপেক্ষার ছায়া।
পাঁচ বছর আগে এই একই স্টেশনে বিদায় নিয়েছিল অর্ণব। বলেছিল, "বিদেশে পড়াশোনা শেষ করেই ফিরবো। অপেক্ষা করো আমার জন্য।"
রিয়া সেই কথা রেখেছে। প্রতিদিন রাতে একবার এই বেঞ্চে এসে বসে। স্টেশনের আওয়াজ, ট্রেনের হুইসেল, সব যেন তার অপেক্ষার সাক্ষী।
আজ একটা বিশেষ দিন। অর্ণবের চিঠি বলছে—"আজ ফিরবো, স্টেশনে এসো।"
রিয়া বুকের ভিতর ঝড় নিয়ে বসে আছে। প্রতিটি ট্রেনের শব্দে সে উঠে দাঁড়ায়, আবার বসে পড়ে। আশেপাশের সবাই ধীরে ধীরে চলে যায়, কেবল রিয়া বসে থাকে।
হঠাৎ দূরে হালকা কুয়াশার মধ্যে দিয়ে ভেসে ওঠে একটা ছায়া। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে। রিয়া চিৎকার করে ওঠে, "অর্ণব!"
ছেলেটি হাসে, চোখে জল। “তুই এখনো অপেক্ষা করিস?”
রিয়া দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে তাকে। বলল, “অপেক্ষা ভালোবাসারই আরেক নাম। তুই ফিরেছিস, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা।”
আকাশে হালকা বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে। যেন প্রকৃতিও সেই পুনর্মিলনের সাক্ষী হয়ে ওঠে।
শেষ।
Ltz Abdul rahman
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?